মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার দৌলতখান মেঘনায় অবৈধ বেহুন্দি, চরঘেরা, বের ও কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে জাটকা ইলিশ নিধন করা হচ্ছে। দিনে-রাতে জেলেরা এসব অবৈধ জাল দিয়ে জাটকা শিকার করে থাকেন। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রাম মহল্লায় দেদারছে বিক্রি হচ্ছে এসব জাটকা। তবে মাঝে-মধ্যে মৎস্য অফিস অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা ও অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করে থাকেন।
এদিকে মৎস অভিযানকে কেন্দ্র করে জেলেদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন সাধারণ জেলেরা। রোববার (২৬ জানুয়ারি) ও সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দৌলতখান বিভিন্ন মাছের আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, জেলেরা জাটকা শিকার করে আড়তে নিয়ে আসলে আড়তের লোকজন প্রকাশ্যে বেপারীদের কাছে তা বিক্রি করছে।
আড়তে এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ ২৮শ থেকে ৩ হাজার টাকা, ৫শ গ্রামের এক হালি ইলিশ ১হাজার থেকে ১২শ টাকা ও জাটকা এক হালি (৪টা) ৮০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, এসব মাছ রাতের আঁধারে ট্রাকে করে বিভিন্ন এলাকা পাঁচার করেন বেপারীরা।
দৌলতখান উপজেলা সিনিয়র মৎস অফিসার মো. মাহফুজুল হাসনাইন বলেন, ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ মৌসুম। এ সময় জাটকা শিকার, বিক্রিয়, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ। এ আইন অমান্য করলে কমপক্ষে ১ বছর ও সর্ব্বোচ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের বিদান রয়েছে। এছাড়া ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড রয়েছে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে দৌলতখানের মাছঘাটগুলোতে প্রচার-প্রচারণা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। তবে আমাদের নিজস্ব দ্রুত জলযান, মাঝি ও জনবল সংকটের কারণে অভিযানে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, জেলেদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। যদি কোন জেলে লিখিত অভিযোগ করে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply