রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: আমানউল্লাহ আমান নামের এক যুবকের মামলায় নির্বাচনের একদিন আগে বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দেন ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ আদালত।
সাময়িক স্থগিতাদেশের আদেশের পর থেকে ছাত্রদলসহ বিএনপি নেতাদের মধ্যে আমানই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়ে গেছে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি।
এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন স্থগিত করার জন্য মামলা করা কে এই আমান? বা কি কারণেই সে নির্বাচন স্থগিত করার জন্য মামলা করেছে। তার উদ্দেশ্য কি?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রদলের গত কেন্দ্রীয় কমিটির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন আমানউল্লাহ আমান। তার বাড়ি কুমিল্লায়।
২০০৯ সালের টুকু-আলীম কমিটি ঘোষণার পর নরসিংদী অঞ্চলের এক নেতা বিদ্রোহ করলে আমান তার গ্রুপে থেকে বিদ্রোহে অংশ নেয়। দীর্ঘদিন ওই নেতার গ্রুপে ছিলেন তিনি। পরে ২০১২ সালের জুয়েল-হাবিব কমিটিতে তাকে পদ না দেওয়ায় বরিশাল অঞ্চলের এক নেতার গ্রুপে যোগ দেন। এই গ্রুপেও বেশিদিন ছিলেন না। আবারও নরসিংদী অঞ্চলের সেই নেতার গ্রুপে সক্রিয় হন আমান। পরে ২০১৪ সালের রাজিব-আকরাম কমিটিতে তাকেসহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক করা হয়।
ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির একজন বলেন, আমান ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন বলে পরিচয় দেন। বিভিন্ন সময়ে মাজার শরীফকেন্দ্রিক ওরস শরীফে যান আমান। ছাত্রদলের কোনো গ্রুপেই সে স্থির থাকেননি।
তবে এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য আমানের মোবাইলে ফোন করা হলেও তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, আজ শনিবার ছিল ছাত্র দলের ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে এ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল স্থগিত করা হয়। আমানউল্লাহ আমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ আদালতের বিচারক নুসরাত জাহান সাথী এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত। বিএনপির মহাসচিবসহ ১০ নেতাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply