গলায় ফাঁস: দাফনের ৭১ দিন পর কবর থেকে গৃহবধূর লাশ উত্তোলন Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




গলায় ফাঁস: দাফনের ৭১ দিন পর কবর থেকে গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

গলায় ফাঁস: দাফনের ৭১ দিন পর কবর থেকে গৃহবধূর লাশ উত্তোলন




অনলাইন ডেস্ক: গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুর ৭১ দিন পর কবর থেকে গৃহবধূ আনিকা নওশিন সারার লাশ উত্তোলন করা হলো।মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে উত্তোলনের পর লাশটি নেয়া হয়েছে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে।

গত ২৬ মে রাতে স্বামীর সাথে ঢাকায় অবস্থানকালে আনিকা নওশিনের গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে বগুড়ার আদমদিঘিতে দাফন করা হয়। আনিকা নওশিন সারা বগুড়ার সান্তাহার নতুন বাজারের মৃত নজরুল ইসলামের মেয়ে ও একই এলাকার মেরিন প্রকৌশলি শাকিল আদনানের স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী।

জানা যায়, আনিকা নওশিন সারার সাথে আদমদীঘির সান্দিড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মেরিন প্রকৌশলী শাকিল আদনানের ১০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তারা সম্পর্কে খালাতো ভাই বোন ছিলেন।

বিয়ের কিছুদিন পর তারা ঢাকাস্থ নিউ ইস্কাটন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের আরাফাত (৭) ও সাদাত (৪) বছরের দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে।গত ২৬ মে রাতে ঢাকাস্থ বাসায় আনিকা নওশিনকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার লাশ স্বজনরা উদ্ধার করে ঢাকার স্থানীয় হাসপাতালে নেয়ার পর চিকৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

পরে আইনের আশ্রয় না নিয়েই সেখান থেকে তড়িঘড়ি করে আদমদীঘির সান্তাহার নতুন বাজার এলাকায় তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর নিহত আনিকা নওশিনের বড় বোন নাজমুন নাহার বাদি হয়ে গত ৩১ জুন ঢাকার হাতিরঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাকিল আদনানকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি ঢাকায় সিআইডিতে স্থানান্তর করা হলে তদন্তকারী উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসাইন মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও আনিকা নওশিনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লাশ উত্তোলনের আবেদন করেন।

সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আনিকা নওশিনের মরদেহ তার কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দেয়। এরপর বগুড়ার নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।

মামলার তদন্তকারী ঢাকা হেড কোয়াটার সি.আই.ডির উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসাইন জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি জানা যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD