সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ নারী সদস্য সংগ্রহে নতুন কৌশল অবলম্বন করছে জঙ্গিরা। প্রথমে টার্গেট নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করছে জঙ্গিরা। পরে তাদের মগজ ধোলাই করে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে জঙ্গিবাদে। মূলত ধর্মভীরু নারীদের টার্গেট করা হচ্ছে।বরিশাল শহরের একটি মাদ্রাসা থেকে সোমবার রাতে এক নারী এবং ঢাকার ডেমরা এলাকা থেকে মঙ্গলবার সকালে এক পুরুষকে গ্রেপ্তারের পর এই চিত্র বেরিয়ে এসেছে।
মঙ্গলাবর (৯ জুলাই) র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মো. এমরানুল হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।তিনি বলেন, কৌশলগত কারণে জঙ্গিরা নারী সদস্য বৃদ্ধি করতে চাচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ধর্মভীরু নারীদের টার্গেট করতো তারা। এরপর বিয়ের ফাঁদে ফেলে জঙ্গিবাদে জড়াতো সেই নারীকে।
জানা যায়, দুই মাস আগে চট্টগ্রামের তরুণী সাফিয়া আক্তার তানজীর সঙ্গে ফেসবুকের একটি গ্রুপে কয়েকজন মেয়ের পরিচয় হয়, যাদের একজন নাঈমা। এই নাঈমার মাধ্যমে তানজীর পরিচয় হয় বরিশালের একটি স্কুলের শিক্ষকের সঙ্গে। তার নাম সহিফুল ওরফে সাইফ। এই সাইফের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিভিন্নভাবে তানজীকে উৎসাহিত করে নাঈমা। তানজীও সেই ফাঁদে পা দেয়। একপর্যায়ে ২৬ জুন সাইফকে বিয়ে করার জন্য নাঈমার সঙ্গে বাড়ি ছাড়ে তানজী।
বাড়ি ছেড়ে বরিশালে পৌঁছানোর পর তানজীকে নাম পরিচয় গোপন করে নাঈমার বোন হিসেবে একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেয় সাইফ। তানজীর বাবা-মায়ের নামের জায়গায় বসানো হয় নাঈমার বাবা-মায়ের নাম। এরইমধ্যে তানজীর সঙ্গে সাইফের বিয়েও হয়। এই সময়ের মধ্যে তানজীকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্নভাবে প্ররোচনা চালায় সাইফ ও নাঈমা।
র্যাব জানিয়েছে, নাঈমা চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ২০১৬ সাল থেকে তিনি ফেইসবুক একটি গ্রুপ খুলে বিভিন্ন নারীকে আনসার আল ইসলাম যুক্ত করতে তৎপর। গ্রেপ্তার আফজাল আনসার আল ইসলামের ঢাকার একটি এলাকায় সংগঠক।র্যাব কর্মকর্তারা বলেন, আফজাল সংগঠনে নারী সদস্যদের দলে অন্তর্ভুক্তিসহ তাদের মাধ্যমে নাশকতার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল।
নাঈমার ফেইসবুক গ্রুপের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
Leave a Reply