সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নেয়াজ রিফাত শরীফ নামে এক যুবককে গেল ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে, যা ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। হামলার ভিডিওতে দেখা যায়, কলেজের মূল ফটকের কাছে কয়েকজন যুবক রিফাতের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে উপর্যুপরি হামলা চালাচ্ছে।
ভিডিওটি প্রকাশের পর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে রিফাত হত্যার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন সাধারণ জনগন।এদিকে রিফাত হত্যা কাণ্ডের সাথে জড়িত সকল আসামীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
তাদের দাবি, রিফাত হত্যার সাথে জড়িত সকল আসামীদের দ্রুত ফাঁসি দিতে হবে। এমন হত্যা আমাদের বিবেক কে নাড়া দিয়েছে। এর দৃষ্টান্ত শাস্তি না হলে ক্রমেই এমন হত্যা আমাদের সমাজে বাড়তে থাকবে। তাই আমরা দ্রুত এর বিচার দাবি করছি।রিফাত হত্যা মামলায় মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনো পলাতক রয়েছেন আরও চার আসামি।এর আগে অন্যতম পরিকল্পনাকারী মো. সাগরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রোববার পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।প্রসঙ্গত, নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী মিন্নিকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালান। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা।
রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নি দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল আসামি নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
Leave a Reply