সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান ওরফে রাফি হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) শুরু হবে।গত ২০ জুন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ মামলার অভিযোগপত্রের উপর শুনানী শেষে ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার মামলার বাদি নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ও দুই সাক্ষী- নুসরাতের সহপাঠী নিশাত সুলতানা ও নাসরিন সুলতানা আজ আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে বাদি ও সাক্ষীদেরকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ উঠেছে।তবে মামলার বাদি ও নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ও দুই সাক্ষী- নুসরাতের সহপাঠী নিশাত সুলতানা ও নাসরিন সুলতানাকে বা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে হুমকি ধামকি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তাঁরা এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজী হয়নি।
অভিযোগপত্রভূক্ত ১৬ আসামি হলেন- মাদ্রাসার সদ্য বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিন, মাদ্রাসার প্রভাষক আফছার উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, হাফেজ আবদুল কাদের, ছাত্র নুর উদ্দিন, ইফতেখার উদ্দিন রানা, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, মো. শামীম, সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, আবদুর রহিম শরীফ, মহি উদ্দিন শাকিল, ইমরান হোসেন মামুন, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন্নাহার মনি,শাহাদাত হোসেন শামীম।
বাদি পক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান জানান, বৃহস্পতিবার মামলার বাদি ও নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান, নুসরাতের দুই সহপাঠি নিশাত সুলতানা ও নাসরিন সুলতানার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হবে।প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে ফেনীর আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এর পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম ১৬জনকে অভিযুক্ত করে ৮৬৯ পৃষ্ঠা সম্বলিত নথি ও অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ৩০ মে মামলার ধার্য তারিখে আসামিদেরকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত শুনানী না করে ওই মামলাটি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ১০ জুন মামলাটি আমলে নিয়ে শুনানির শুরু করা হয়।
উল্লেখ্য, সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান ওরফে রাফিকে গত ৬ এপ্রিল গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে মারা যায়।
এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদি হয়ে আটজনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ ও পিবিআই এ মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ১২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।এর আগে গত ২৭ মার্চ নিজ কক্ষে ডেকে নুসরাতকে শ্লীলতাহনির করে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। এঘটনায় নুসরাতের মা বাদি হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
Leave a Reply