মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। কলাপাড়ায় হতদরিদ্র জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারের বিশেষ ভিজিএফ’র চাল বিতরনে গুরুতর অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগে মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ: ছালাম আকন সহ চার ইউপি সদস্যের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) মহিপুর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের জেলে মো: শাহ আলম বাদী হয়ে চাঁদাবাজী, প্রতারনা ও সরকারী চাল আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এএইচএম ইমরানুর রহমানের আদালত এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসিকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মহিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আ: ছালাম আকন, ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদার, শামসুল আলম, আ: সোবাহান ২০১৮-১৯ মৎস্য ভিজিএফ’র চাল বিতরনে অগ্রাধিকার তালিকায় অত্র ইউনিয়নের ৬৯৫ জন জেলের তালিকা প্রস্তুত করেন। উক্ত তালিকায় প্রকৃত জেলেদের নাম বাদ দিয়ে স্বনামে, বেনামে তালিকা ভূক্ত করিয়া এবং মৃত ব্যক্তিদের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করিয়া তাহাদের নামের চাল আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া জেলেরা চালের স্লিপ নিয়ে ঘটনার দিন ও সময় পরিষদে চাল নিতে গেলে আসামীরা ১২০ কেজি চালের জন্য এক হাজার টাকা করে চাঁদা দাবী করেন। এতে বাদী সহ স্বাক্ষীরা প্রতিবাদ করায় আসামীরা গলা ধাক্কা দিয়া, কিল, ঘুষি মারিয়া প্রতিবাদকারী জেলেদের পরিষদ থেকে বের করে দেয়।
এর আগে মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সরকারের বরাদ্দকৃত মৎস্যজীবি জেলেদের মধ্যে বিশেষ ভিজিএফ’র চাল বিতরনের সময় দু’লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে ৯০০ কেজি চাল ছিনিয়ে নেয়ার কথিত ঘটনায় ৬ জন জেলের নাম উল্লেখ করে ২০/২৫ জন অজ্ঞাত জেলেদের আসামী করে মামলা করে মহিপুর ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদার।
চেয়ারম্যান ওই মামলায় ১নং স্বাক্ষী। বিজ্ঞ আদালত মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ঘটনার তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এদিকে ২৫ মে শনিবার মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের জন্য সরকারের বিশেষ বরাদ্দের ৩০ কেজি করে চার মাসের চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণ কালে ১২০ কেজির পরিবর্তে ১০৫ কেজি চাল জেলেদের দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জেলেরা। এতে প্রকৃত জেলেরা চাল না পেয়ে ফুঁসে উঠতে শুরু করে। এছাড়া জেলেদের চালের তালিকায় রয়েছে মৃত ব্যক্তি, প্রবাসে থাকা ব্যক্তি সহ বিত্তশালী ব্যক্তিদের নাম।
মহিপুর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ: মালেক আকন জানান,’চাল নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ধামা চাপা দিতে হতদরিদ্র জেলেদের নামে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের পর ভুক্তভোগী জেলেরা এবার চাল আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যানের নামে মামলা দায়ের করেছে।
এবার থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।’
আ: মালেক আকন আরও জানান, ’এর আগে জেলেরা চাল নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ দিলে তিনি মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply