রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় রুস্তুম আলী তালুকদার শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ২৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান সুজন (৩০) আহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৩এপ্রিল-২০১৯) দিবাগত রাতে নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের হরিনাফুলিয়া নতুন হাট সংলগ্ন সরদার বাড়ীর সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষক সুজনকে সেই রাতেই কতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে।
শিক্ষকের উপর নগ্ন হামলার ঘটনায় নতুন হাট এলাকার মৃত রহিম সরদারের ছেলে মোঃ রহমান সরদার (৫২) তারই ছেলে সাগর সরদার (২৫), কুট্টি শিকদারের ছেলে সোহেল শিকদার (২৪) তার ভাই শামিম শিকদার (৩০), শাকিল হাওলাদার (২৪),প্রিন্স(২৮) সহ আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে বরিশাল কতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মামলা নং ৮৬।
হামলায় আহত প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান সুজন নিজেই বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। আহত শিক্ষক জানায়,কয়েক মাস পূর্বে ২৬ নং ওয়ার্ডের নতুন হাট এলাকার স্থানীয় কিছু যুবক পিকনিকের নাম করে আমার কাছে চাঁদা ছেয়েছিল কিন্তু আমি তখন তাদের পিকনিকে চাঁদা না দেয়ায় আমার সাথে তাদের বাকবিতাদ্বন্দ হয়,তখন তারা আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। কিন্তু আমি তাদের হুমকি আমলে না নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে এলাকায় বসবাস করতে থাকি। তবে তারা যে আমার উপর হামলা করার সুযোগের অপেক্ষায় ছিল টা আমি বুঝতে পারিনি,গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আমার বন্ধু মোঃ নিজাম শিকদারের বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে রওনা হয়ে হরিনাফুলিয়া নতুন হাট সংলগ্ন সরদার বাড়ীর সামনে যাওয়ার পরই নতুন হাট খোলা এলাকার মৃত রহিম সরদারের ছেলে রহমান সরদার,সাগর সরদার,সোহেল শিকদার, শামিম, শাকিল হাওলাদার,প্রিন্সসহ তারা আরো বেশকিছু লোকজন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
তিনি আরো জানান,তারা আমার উপর হামলা চালানোর সময় আমি দৌড়ে আমার বন্ধু নিজামের বাড়িতে আশ্রয় নিলে তারা সেখানে গিয়েও আমার এবং আমার বন্ধু নিজামের স্ত্রীর উপরও হামলা করে আহত করে । একপর্যায়ে আমাদের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা আমাদের বাঁচাতে আসলে তখন রহমান সরদার ও শামিম শিকদার মিলে স্থানীয় জনগণের কাছে বলতে শুরু করে যে আমার বন্ধু নিজামের স্ত্রীর সাথে আমার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে,এবং আমি সেই রাতে নিজামের স্ত্রীর সাথে দেখা করতে গিয়েছি এবং তারা আমাদের আটক করেছে। এঘটনার সময় রহমান ও তার সহযোগীরা আমার কাছে টাকা দাবী করে, তখন শামিম বলতে শুরু করে যদি ও টাকা না দেয় তাহলে আজকে ওর মানসন্মান সব শেষ করে দিব। পরবর্তীতে স্থানীয় কোনো ব্যাক্তি ওদের এই কার্যকলাপ দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের আসার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে ছিটকে পরে।
এরপর পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে শেবাচিমে ভর্তি করে। তারা আমার উপর হামলা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি,আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য আমাকে এবং আমার বন্ধুর স্ত্রীকে জড়িয়ে সাংবাদিক ভাইদেরকে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায়। এ ব্যাপারে বরিশাল মডেল থানার উপ- পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শামিম বলেন,আমরা ঘটনাস্থলে থেকে আহত অবস্থায় শিক্ষক সুজনকে উদ্ধার করে শেবাচিমে ভর্তি করি এবং স্থানীয় জনতা ও নিজামের মায়ের সাথে কথা বলে যতোটুকু প্রমান পেয়েছি তাতে করে বোঝা যায় যে শিক্ষককে ফাঁসাতেই এরকম ঘটনার সৃষ্টি করেছে।
ঘটনার রাতে আহত শিক্ষক থানায় কোনো অভিযোগ করতে না পারায় আসামীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যাবস্থা নিতে পারিনি, তবে আজ শিক্ষক সুজন তার উপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা করেছে,তিনি মামলা করার পর থেকেই আসামীদের আটক করার জন্য চেস্টা চলমান রয়েছে ।
Leave a Reply