রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: নিজেকে ওজোপাডিকো’র বিদ্যুৎ মিটার রিডিং ম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়ে গ্রাহকের অর্ধ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে নগরীর রাজু ও তার ভাইয়েরা। টাকা হাতিয়ে নিতে নিজেকে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার লোক বলে পরিচয় দিয়েছে তারা। এছাড়া তার ওই চাকরিও নাকি ওই আ.লীগ নেতা দিয়েছে। কিন্তু ওজোপডিকো’র অফিস সূত্রে জানা গেছে রাজু নামে ওজোপাডিকো অফিসে কোন কর্মচারি নেই। অভিযুক্ত রাজু নগরীর কাউনিয়া ব্রাঞ্চ রোড এলাকার ওজোপাডিকোর অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি শাহে আলমের ছেলে। ওজোপাডিকো’র দায়িত্বরত রিডিং ম্যান মাসুম জানান, নগরীর কাশিপুর এলাকার রিডিং ম্যান হিসেবে দায়িত্বরত মাসুম গত ৪ মাস ধরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়।
ওই এলাকার গ্রাহকদের সুবিধার্থে মাসুমের বদলে রাজুকে সাময়িকভাবে রিডিং ম্যান হিসেবে কিছুদিনের জন্য কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু রাজু প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের কাছে নিজেকে ওজোপাডিকো’র গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়। এভাবে সে গ্রাহকদের বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধাসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করে দেয়ার কথা বলে প্রায় ১০/১৫ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। মিটারের বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা বলে গ্রাহকের মামলারও হুমকি দেয় রাজু এবং বলে সারাজীবন ওই মামলার হাজিরা দিলেও তা শেষ হবে না। রাজুর এসব কর্মকান্ডে তার ভাই বাহার, আহাদ, রিদয় সহায়তা করেছে। পরস্পর যোগসাজশে এমন কর্মকান্ড করেছে।
এছাড়া মাসুম আরো বলেন, রাজু একজন ঠক, প্রতারক ও দুর্নীতবাজ। ভুক্তভোগী গ্রাহক কাশিপুরের নবজাগরন স্কুল সংলগ্ম এলাকার আঃ হাশেম জোমাদ্দারের স্ত্রী সুফিয়া বেগম জানান, গত ৪ মাস পূর্বে রাজু মিটারে সমস্যার কথা বলে নতুন মিটারের ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলে আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। আমার আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় তাকে বুঝিয়ে ৫ হাজার টাকায় মিটার বদল করার অনুরোধ করি। এভাবে সে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে রাজুকে ৫ হাজার টাকা দেই। কিন্তু টাকা দেয়ার পর ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও সে আমার কোন মিটার দেয়নি। আমি তাকে মিটার দেয়ার জন্য চাপ দিলে সে টালবাহানা শুর করে। পরে রাজুর অপর ভাই বাহার ও আহদকে সাথে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে আমাকে প্রভাবশালী আ.লীগ নেতার পরিচয় দিয়ে হুমকি দেয়।
আমার মিটারকে ব্যবসায়িক হিসেবে রূপান্তর করে দিবে। অপরদিকে ওই এলাকার আয়েশা মঞ্জিলের তন্দ্রা বেগম জানান, আমাদের মিটারে বড় ধরনের ত্রুটি রয়েছে। এ কারনে আমাদের মিটারে বেশি বিল আসে। রাজু মিটার পরিবর্তন করে দিয়ে আমাদের সমস্যা সমাধান করে দেবে। এজন্য সে আমাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু টাকা দেয়ার পর আজ পর্যন্ত আমাদের নতুন মিটার সে দেয়নি।
এভাবে রাজু আমাদের এলাকার প্রায় ১০ থেকে ১২ টি পরিবারকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধাণ করে দেয়া কথা বলে তাদের কাছ থেকে অর্ধ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে ওজোপাডিকো’র নির্বাহী প্রকৌশলী অমুল্য সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে অপারগতা জানান। ভুক্তভোগীরা কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply