রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক :টাঙ্গাইলের বাসাইলে নববধূকে সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।দগ্ধ ওই নারীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সজিব উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের আদাজান গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে। ওই নববধূ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের খুদ্দী জুগনী এলাকার আবুল হোসেনের মেয়ে খাদিজা আক্তার (১৮)।
খাদিজার বাবা আবুল হোসেন বলেন, ‘২২ দিন আগে সজিবের সঙ্গে খাদিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সজিব ও খাদিজার মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। বিভিন্ন সময় খাদিজার স্বামী যৌতুকের দাবিতে তাকে মারধর করতো। এরপর মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে খাদিজাকে হাত-পা বেঁধে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেট দিয়ে আগুনে ছ্যাকা দেয়। পরে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি আমাকে জানালে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি।
তিনি বলেন, মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনে দগ্ধ হওয়ায় কান্নাকাটি করছিল। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
প্রায় দুই বছর আগে খাদিজার আরেকটি বিয়ে হয়েছিল। এটা খাদিজার দ্বিতীয় বিয়ে বলে তিনি জানান।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজা অভিযোগ করে বলেন, তাদের বিয়ে হয়েছে একমাসও হয়নি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী টাকা ও বিয়েতে দেয়া ১ ভরি সোনার গহনার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এনিয়ে প্রতিদিন তাকে মারধর করত। শ্বশুরবাড়ির লোকজন জেনেও কিছু বলতো না। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার রাতে নেশার টাকা না পেয়ে তার সারা শরীরে বিড়ির ছ্যাকা দিয়ে ঝলসে দেয় সজীব।
সজিবের স্বজনরা জানান, সজিব ও খাদিজার মধ্যে কোনো সমস্যা ছিল না। ভালোভাবেই তাদের সংসার চলছিল। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে খাদিজার বাবা ও দাদাকে দাওয়াত দিয়ে আনা হয়। পরে ভালোভাবেই খাদিজা তার বাবার বাড়িতে যায়।
বাসাইল থানার ওসি এসএম তুহীন আলী বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হয়েছে। পরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।’
Leave a Reply