বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা স্বেচ্ছায় সনদ বাতিল করে সরে গেলে সাধারণ ক্ষমা পেতে পারেন। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, মহান বিজয় দিবস এবং মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কিত পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। ফারুক-ই-আজম বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অনেকে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এটি বড় অপরাধ। আমরা চাই এই ধরনের অনিয়ম বন্ধ হোক।”
তিনি জানান, ১২ বছর ছয় মাস বয়সী ২,১১১ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে এবং তাদের বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। “যদি তারা দোষী প্রমাণিত হয়, তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে,” বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আরও জানান, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট করার প্রচেষ্টা চলছে। তালিকায় যুক্ত অমুক্তিযোদ্ধারা যদি স্বেচ্ছায় সরে যান, তবে সাধারণ ক্ষমা পেতে পারেন। তবে, যারা এই সুযোগ গ্রহণ করবেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে চাই। সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা যেন কোনোভাবে অপমানিত না হন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
ফারুক-ই-আজম আরও উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রক্ষায় এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়ায় তারা সফলতা অর্জন করতে পারবেন বলে আশাবাদী।
Leave a Reply