বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দের ধারাগুলো বাতিল করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে। সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এতে স্বাক্ষর করেন। এর ফলে আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আর কোনো দলীয় প্রতীকের ব্যবহার হবে না।
অধ্যাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন আইনের সংশোধনী যুক্ত হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের সুযোগ আর আইনি কাঠামোর মধ্যে থাকবে না। গত ১ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চারটি আলাদা অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ২৪ জুলাই উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিলে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ তা গেজেট আকারে প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহারের প্রথা চালু হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা দলীয় প্রতীক ব্যবহারের বিরুদ্ধে মত দিয়ে আসছিলেন। তাদের মতে, দলীয় প্রতীক ব্যবহারের কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচন কেন্দ্রীয় রাজনীতির প্রভাবাধীন হয়ে পড়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনও দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। কমিশনের ধারণা ছিল, এ পদক্ষেপ নির্বাচনকে আরও অংশগ্রহণমূলক করবে এবং যোগ্য, নির্দলীয় প্রার্থীদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ বাড়াবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দলীয় প্রতীক বাতিল হওয়ায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিযোগিতা আরও স্বচ্ছ হবে। রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে থেকে সাধারণ যোগ্য প্রার্থীরা ভোটে অংশ নিতে পারবেন। এর ফলে জনগণের সরাসরি সম্পৃক্তি বাড়বে এবং ভোটাধিকার প্রয়োগে স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে।
এই সিদ্ধান্তকে তারা স্থানীয় সরকারের জন্য একটি নতুন দৃষ্টান্ত এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
Leave a Reply