শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
আ:লীগের প্রার্থীতা নিয়ে বিশাদোগার কে এই ফেরদৌস খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটে চলাচলকৃত কির্তনখোলা লঞ্চে সত্তাদিকারি তিনি।রাজনৈতিক পরিচয়ে তিনি বিএনপি’র সাথে সংশ্লিষ্ঠ।বিএনপি রাজনিতির সাথে যুক্ত থাকায় বিসিসি নির্বাচনের নৌকা প্রার্থীর সাদিক আবদুল্লাকে নিয়ে অশালিন মন্তব্য করেছেন।তার মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে সমালচনার ঝড়।রাজনৈতিক মহলেও পরেছে এর ইতিবাচক প্রভাব।সুত্রটি জানিয়েছে মুলত তিনি বিএনপি করেন,কিন্তু দলীয় নেতা কর্মীরা কেউ তাকে চেনেনা । এমনকি দলীয় কর্মসুচিতেও তেমন অংশ গ্রহন নেই ।
তবে লঞ্চ ব্যাবসার ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিচিতি তার।এমত অবস্থায় নিজেকে টাইমলাইনে আনতেই বিএনপি মনোভাব নিয়ে আ:লীগের প্রার্থীকে নিয়ে অশ্লিল মন্তব্য করেছেন তিনি।তার ঐ বক্তব্য নগরজুড়ে টপ অফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। এনিয়ে ভিবিন্ন অনলাইন নিউজ পোট্রালে ডালাও ভাবে সংবাদ প্রাকাশিত হয়েছে। এরপরে নিজেকে নির্দোষ প্রমানে পত্রিকা অফিস গুলোর দ্বারে দ্বারে দৌরঝাপ শুরু করেছেন ফেরদৌস।
সুত্রটি াারো জানায়, লঞ্চ ব্যাবসা সূত্রে ধরে বিভিন্ন চক্রের সাথে টাকা নিয়ে প্রতারণা করায় দুদকের মামলায় গ্যাড়াকলে পরে বেশ কয়েক বার কারাভোগ করেছেন ফেরদৌস ।নানান ভাবে লঞ্চ ব্যাবসায় মন্দা যাচ্ছে এজন্য রাজনীতিতে প্রবেশ করতে নিজেকে আলোচনায় এনেছে ফেরদৌস।প্রসংগত গত সোমবার (২৩জুলাই)“সাদিক কে? কিসের নৌকা? কোন ক্যাম্পিং হবে না” কথাগুলো কোন সিনেমার ডায়লগ নয়। বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীয়ত মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সমর্থনে আয়োজিত উঠান বৈঠকের বিরোধীতা করে আ’লীগ নেতাদের সামনে প্রকাশ্যেই এমনটি বলছিলেন বিএনপি ঘরানার লঞ্চ মালিক মনজুরুল হাসান ফেরদৌস। প্রকারন্তরে যে ভাষাগুলো তিনি উ”চারণ করেছিলেন তার পুরোটা লেখা সম্ভব নয়।
সূত্রে জানা যায়, আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। যে যার সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নগরীর অলিগলি চষে বেড়ানোর পাশাপাশি প্রতিদিনই অনুষ্ঠিত হচ্ছে উঠান বৈঠক। আর আয়োজিত ওইসব উঠান বৈঠকে স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অনেক নেতাকর্মীই সেখানে হাজির থাকেন। গত সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে নগরীর ঐতিহ্যবাহি বরিশাল শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে বরিশাল জেলা ফুটবল কল্যান ক্লাবের এক বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়।
উক্ত সভায়উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বুলস এর স্বত্বাধিকারী এমএ আউয়াল চৌধুরী ভুলু, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক আরিফিন মোল্লা এবং তার ছোট ভাই মুন্না ওয়াহিদ ও তার পরিবারের সদস্যরাসহ বরিশাল জেলা ফুটবল কল্যান ক্লাবের সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম ,সাধারন সম্পাদক মোঃ আতিকুল ইসলাম (রাকিব), সোনালী আতীত ফুটবল ক্লাবের স্বত্বাধিকারী মনজুরুল হাসান ফেরদৌস, সাবেক ও বর্তমান জাতীয় দলের খেলোয়ার ইয়াসিন প্রমুখ। সভার এক পর্যায় সিটি মেয়র পদে আ’লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সমর্থনে একটি উঠান বৈঠক করার কথা আলোচনায় আসে।
সাথে সাথে তেলেবেগুনে চটে উঠেন। উপস্থিত’ সকলের সামনেই বলতে থাকেন “সাদিক কে? কিসের নৌকা? কোন উঠান বৈঠক কিংবা ক্যাম্পিং এখানে হবেনা। তার এমন ঔদ্ধ্যত্ত্বপূর্ণ মন্তব্যে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যান। কৌশলী ফেরদৌস এ সময় উপস্তিত সংবাদকর্মীদের সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন।
একজন বিএনপি সমর্থিত লোক আ’লীগের নেতাকর্মীদের সামনে প্রকাশ্যে সাদিকের উঠান বৈঠক নিয়ে এমন ঐদ্ধত্ত্বপূর্ণ মন্তব্য করায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে একজন এমন মন্তব্যের কারণ জানতে চাইলে তাকে লাঞ্ছিত করেন ফেরদৌস। এ ব্যাপারে ফেরদৌস’র মুঠো ফোনে (০১৭১৩….০২) একাধীকবার ফোন দিলে তিনি তা রিসিফ না করায় ,তার বক্তব্য নেয় সম্ভব হয়নি ।
Leave a Reply