শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটে বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলের জার্সি উন্মোচন ও ফটোসেশনে অনুপস্থিত ছিলেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাকি ১৪ সদস্য ফটোসেশনে অংশ নিয়েছিলেন এই বিশেষ ফটোসেশনে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এসব আলোচনা-সমালোচনা পছন্দ হয়নি সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের।ফেসবুকে নিজের (সাকিব উম্মে আল হাসান) পেজে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন শিশির।
সেখানে তিনি লিখেছেন, আমার সত্যিই সাংবাদিকদের নিয়ে বলার কিছু নেই যে কেন তারা সাকিব আল হাসানকে এত ঘৃণা করে। আমার ধারণা আমাদেরই দোষ। আমরা তাদের ডিনার বা লাঞ্চে দাওয়াত দেইনি, কিংবা তাদের সঙ্গে ঘণ্টার পর কথা বলে তোষামোদ করিনি কিংবা তাদের দলের ভেতরের খবর দিইনি।
সাকিবকে প্রশংসা করে শিশির লিখেছেন, সাকিব জীবনের এ পর্যায়ে এসেছে কঠোর পরিশ্রম করে। ছোটবেলা থেকে সে বিকেএসপিতে পরিশ্রম করেছে, শুধু ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়েছে। সে অভিনয় শেখেনি কিংবা মানুষের সহানুভূতি নিয়ে খেলা করাও শেখেনি। এখন মনে হচ্ছে সেটা শিখলেই ভালো করত। হয়তো এ কারণেই সে খুব একটা ইতিবাচক মানুষ না। যাই হোক সে নিজের ভালো কাজগুলো ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে মানুষকে খুশি করতে চায় না এবং মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকতে চায় না।
বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ফটোসেশনে না থাকার ব্যাখ্যায় শিশির লিখেছেন, এখন আলোচনার বিষয় হলো সে কেন বিশ্বকাপের ফটোসেশনে ছিল না। প্রথমত সে এখানে যেতে পারেনি কিন্তু সেটা ইচ্ছে করে নয়। কারণ তাকে যে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল সেটা ভুল বুঝেছে সে। এরপর সে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আমরা দুঃখিত সে ঘটনা ভিডিও করে রাখিনি।
এরপর একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানের সমালোচনা করে শিশির লিখেছেন। দ্বিতীয়ত, চ্যানেল২৪ তাদের বিয়ন্ড দ্য গ্যালারি অনুষ্ঠানে দুইজন সাংবাদিক সাকিবকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলেছেন। এর মাঝে একটি হলো, সে বিখ্যাত হওয়ার জন্য এসব করছে। আমি যদি ভুল না করি, এটাই ওর সবচেয়ে কম দরকার। এটা আসলে উল্টো, আপনারা (সাংবাদিক) ওকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলে বিখ্যাত হতে চাইছেন। কারণ এটাই ব্যবসা, এ ব্যবসায় এটাই সবচেয়ে লাভজনক এবং আপনাদের প্রোফাইলও ভারি হবে! যদি তার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন থাকে তবে যে কোনো খেলোয়াড়কে ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করুন। মাঠ ও মাঠের বাইরে ভেতরের খবর নিন। বিশ্বকাপ এগিয়ে আসছে। তাকে তার মতো থাকতে দিন। আমার মনে হয় আরও অনেক জিনিস আছে কথা বলার জন্য।
Leave a Reply