শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক//
সংবাদ প্রকাশের পরে অবশেষে বরিশাল বাবুগঞ্জের রহমতপুর-মীরগঞ্জ সড়কের বাবুগঞ্জ বাজার সংলগ্ন স্টীল ব্রীজ’র পূর্ব প্রান্তে স্ব-ঘোষিত ও অনিয়ন্ত্রিত ভাবে গড়ে ওঠা আলফা-মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ডটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ”বাবুগঞ্জে স্ব-ঘোষিত মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ড,দূর্ঘটনার ঝুঁকিতে পথচারীরা” শিরোনামে গতকাল স্থানীয় বেশ কয়েটি দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদের সূত্র ধরে জনসাধারনের দূর্ঘটনা ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে বাবুগঞ্জ থানার অফিসার-ইন চার্জ দিবাকর চন্দ্র দাস ও বরিশাল জেলা আলফা মাহিন্দ্রা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন লিটন মোল্লার নির্দেশে তাৎক্ষনিক ব্রীজের পূর্ব প্রান্তের মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাবুগঞ্জে স্টীল ব্রিজের পূর্ব প্রান্তের অবৈধ মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেওয়ায় জনমনে প্রশান্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয়রা বাবুগঞ্জ থানার ওসি দিবাকর চন্দ্র দাস ও বরিশাল জেলা আলফা মাহিন্দ্রা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামাল হোসেন লিটন মোল্লাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বাবুগঞ্জ থানার ওসি দিবাকর চন্দ্র দাস বলেন দূর্ঘটনা ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কামাল হোসেন লিটন মোল্লা বলেন যাত্রী সাধারণের সেবা দেওয়া আমাদের লক্ষ্য সেই দিকটা বিবেচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে মাহিন্দ্র স্ট্যান্ডটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে আমাদের মাহিন্দ্রা চালকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রহমতপুর-মীরগঞ্জ সড়কের স্টীল ব্রীজ’র পূর্ব প্রান্তে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সামনে গত প্রায় ১ বছর আগে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছিল একটি অলফা-মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ড। যে স্থানটিতে এ স্ট্যান্ডটি তৈরি হয়েছে যেটির পূর্বদিকে মীরগঞ্জ, পশ্চিম দিকে রহমতপুর, উত্তর দিকে বাবুগঞ্জ বাজার, আর দক্ষিণ দিকে রাজকর গ্রাম। চতুরদিক থেকে প্রতিদিন নারি, পুরুষ, শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার লোক চলাচল করে।
অপরদিকে বাবুগঞ্জ বাজার ও রাজকর গ্রামের রাস্তা থেকে স্টীল ব্রিজের ঐ স্ট্যান্ডটি উঁচু স্থানে হওয়া ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে রাখায় ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচলকৃত গাড়িগুলোকে স্পষ্ট দেখা না যাওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। এমনকি বাবুগঞ্জ বাজার থেকে মোটর সাইকেল, পিক-আপ, আলফা-মাহিন্দ্রা, ভ্যান অথবা অন্যকোন গাড়ি ব্রীজের উপরে উঠতে হয় অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে।
Leave a Reply