শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে বহুল আলোচিত দুর্নীতির মামলায় খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। ফলে সব ধরনের মামলায় তারেক রহমান এখন দণ্ড ও সাজামুক্ত। হাইকোর্টের এ রায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল ও গতিপথে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে। মামলার দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে উচ্চ আদালত থেকে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। অপরদিকে তারেক রহমানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল এবং জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
আইনজীবী এস এম শাহজাহান রায়ের পর বলেন, “তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। তার নামে যেসব সম্পত্তি দেখানো হয়েছে, তা জ্ঞাত আয়ের বাইরের নয় এবং এর কোনোটি দেশের বাইরে নয়।” তিনি আরো বলেন, “সেনানিবাসে মইনুল রোডের বাড়িটি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। গুলশানের আরেকটি বাসাও সরকারের দেওয়া, যার মূল্য ছিল মাত্র ৩৩ টাকা।”
ডা. জুবাইদা রহমানকে এ মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি হাইকোর্টে ১৪ মে আপিল করেন এবং একইসঙ্গে জামিনও পান। হাইকোর্ট তার আপিলের দায়ের বিলম্বের ৫৮৭ দিনকেও মার্জনা করে।
এ রায়ের পর রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপির নেতারা রায়টিকে ‘আইনের বিজয়’ হিসেবে দেখছেন এবং রাজনৈতিকভাবে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এ রায় এক নতুন মাত্রা যোগ করল, যার প্রভাব পড়বে আগামী নির্বাচন এবং রাজনীতির গতি-প্রকৃতিতেও।
Leave a Reply