সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধনের মাধ্যমে নতুনভাবে সংযোজিত বিধানগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত হলে তা সরকারি গেজেটের মাধ্যমে তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করে নিষিদ্ধ করা যাবে।
বর্তমানে প্রচলিত আইনে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য শাস্তির বিধান থাকলেও, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংগঠনের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার সুযোগ ছিল না। নতুন বিধানে সেই ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে। এখন থেকে আদালতে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সত্ত্বা বা সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যাবে।
এছাড়া, বৈঠকে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রচার নিষিদ্ধ করার বিষয়েও আইনি বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সন্ত্রাসবাদের প্রচারণা, রিক্রুটমেন্ট, কিংবা সহিংস কার্যক্রমে উসকানি রোধে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনকে সময়োপযোগী ও শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি।” তিনি আরও বলেন, “এই আইনশৈল্পিক উন্নয়ন দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে সহায়তা করবে।”
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরও জানানো হয়, সংশোধিত আইন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থা ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং প্রতিরোধ আরও কার্যকর হবে, বিশেষত যেসব সংগঠন গোপনে অনলাইন বা সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়।
এই আইনের মাধ্যমে দেশব্যাপী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হলো বলে মনে করছেন অনেকে।
Leave a Reply