সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে বরিশালে তৌহিদ'র রেণুপোনা বাণিজ্য Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে বরিশালে তৌহিদ’র রেণুপোনা বাণিজ্য

সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে বরিশালে তৌহিদ’র রেণুপোনা বাণিজ্য




নিজস্ব প্রতিবেদক:  বরিশাল জেলার মেঘনা, তেঁতুলিয়াসহ দখিনের বিভিন্ন নদীতে অবাধে মশারি জাল, বিহিন্দী ও কারেন্ট জাল দিয়ে নির্বিচারে চিংড়ির রেনু পোনা (গলদা চিংড়ি) নিধনের মহোৎসব চলছে। এসব রেনু পোনা ধরতে গিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছের রেনু পোনা ধ্বংস হচ্ছে প্রতিদিন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ এ বাণিজ্য করছেন।

প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির গাড়ি চালক হিসেবে তার নাম ব্যবহার করে সংশিøষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিরাপদ হিসেবে সড়ক ও নদী পথ দিয়ে বড় বড় ড্রাম কিংবা পাতিল ভর্তি করে খুলনা, বাগেরহাট, সাতÿীরাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে চালান করছে সে। তার চক্রে আরো কয়েকজন রয়েছে। এÿেত্রে গোপালগঞ্জের টুলু নামের এক ব্যক্তির নামও ভাঙাচ্ছে তৌহিদ। ফলে জলজ প্রাণির ওপর মারাত্মক প্রভাব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, একটি চিংড়ির রেনু পোনা (পিএল-পোস্ট লাম্বা) ধরার জন্য অন্য প্রজাতির নয় থেকে ১২টি রেনু পোনা ধ্বংস করা হচ্ছে।

এরমধ্যে দুই হাজার প্রজাতির মাছ ও বিভিন্ন প্রকারের জলজপ্রাণি প্রতিদিন ধ্বংস হচ্ছে। যেকারনে মেঘনা, তেঁতুলিয়াসহ দখিনের নদীতে অন্য প্রজাতির মাছ ও অনান্য জলজপ্রাণির ওপর মারাত্মক ÿতিকর প্রভাব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণেই সরকার বাগদা ও গলদা প্রজাতির রেনু পোনা আহরণ ও সংরÿণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, জেলেরা মশারি জাল ও বিহিন্দী জাল দিয়ে রেনু পোনা (গলদা চিংড়ি) ধরছে।

প্রতিবার জাল ফেলে সাত থেকে আটটি চিংড়ির রেনু পোনা পেলেও তার সাথে উঠে আসছে টেংরা, পোয়া, তপসিসহ অসংখ্য প্রজাতির মাছের পোনা।

চিংড়ি পোনা আলাদা করে মাটি ও অন্যান্য পাত্রে জিইয়ে রাখলেও অন্য প্রজাতির মাছের পোনাগুলো ডাঙায় অথবা চরে ফেলে দেওয়ায় সেগুলো মারা যাচ্ছে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা জানান, সংশিøষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তৌহিদুর রহমান তৌহিদ তার গাড়ির মালিক জনপ্রতিনিধির ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জেলেদের একপ্রকার জোরপূর্বক বাধ্য করে বিহিন্দী জাল, মশারী জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে রেনু পোনা নিধন করাচ্ছেন দেদারছে।

সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, নেহালগঞ্জ ফেরীঘাট, লাহারহাট ফেরিঘাট, গোমা ফেরিঘাটসহ জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যবসায়ীরা তার প্রভাবে জেলেদের কাছ থেকে রেনু পোনা ক্রয় করে তা বড় বড় ড্রাম ভর্তি করে প্রতিদিন ১৮টি ট্রাকে খুলনা, বাগেরহাট, সাতÿীরাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে চালান করছেন।

এছাড়া নদীপথে ট্রলারে পাতিল ভর্তি করে পাচার হয় আরও কমপÿে ৪০ লাখ রেনু পোনা। এ বিষয়ে তৌহিদুর রহমান তৌহিদ সাংবাদিকদের বলেন, পাতিল কিংবা ড্রাম প্রতি প্রশাসনকে ও দলীয় স্থানীয় নেতাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেন তিনি। মাঝে-মধ্যে প্রশাসন যা আটক করে তা টাকা দিতে দেরি হওয়ার কারণে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD