রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ আজ শুক্রবার (৩০ মে) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যদের হাতে তিনি নিহত হন। বিএনপির ভাষ্য অনুযায়ী, এই হত্যাকাণ্ড দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফলাফল ছিল। তাঁর মৃত্যু দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গভীর ক্ষত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং জেড ফোর্সের অধিনায়ক। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের নেতৃত্ব দেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে দেশের জনগণকে সংগঠিত করেন। স্বাধীনতার পর তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশে কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি এবং সামাজিক উন্নয়নে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসে। তার খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব এবং আর্থিক স্বনির্ভরতার পদক্ষেপ এখনো স্মরণীয়। নারী ও শিশুদের উন্নয়নেও তিনি নানা কর্মসূচি চালু করেন, যা সামাজিক অগ্রগতির পথ সুগম করে।
তার ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যা ২৬ মে থেকে শুরু হয়ে ২ জুন পর্যন্ত চলবে। এই কর্মসূচির আওতায় আলোচনা সভা, পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, কালো ব্যাজ ধারণ, শহীদ জিয়ার কবর জিয়ারত এবং দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয় এবং সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
১৯৮১ সালের ২৯ মে সরকারি সফরে চট্টগ্রাম অবস্থানকালে রাতে তাকে হত্যা করা হয় এবং পরদিন গভীর জঙ্গলে গোপনে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকায় আনা হয়। লাখো মানুষ শোকাবহ পরিবেশে জানাজায় অংশ নেন এবং তাকে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে সমাহিত করা হয়।
Leave a Reply