রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি আলোচিত শুনানিতে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে সহিংসতা পরিচালনার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে গণহত্যায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে প্রসিকিউশন। রোববার (২০ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য উপস্থাপন করেন।
তাজুল ইসলাম জানান, তদন্ত এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত থেকে স্পষ্ট হয় যে অভিযুক্তরা গণহত্যা, পরিকল্পিত সহিংসতা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক অপরাধের আওতায় পড়ে।
এই শুনানিতে ১৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শ্রমিক নেতা শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, কামাল আহমেদ মজুমদার ও জুনায়েদ আহমেদ পলক।
প্রসিকিউশনের দাবি অনুযায়ী, জনগণের বিরুদ্ধে পরিচালিত সহিংসতা ছিল পরিকল্পিত এবং এতে রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক কাঠামো ব্যবহৃত হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই নির্দেশনা দেন।
তদন্তে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব অপরাধ মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে। প্রসিকিউশন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
Leave a Reply