রয়ে গেছে মোবাইল ফোন, আর এটিএম কার্ডসহ নিখোঁজ বরিশালের মাহামুদ Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




রয়ে গেছে মোবাইল ফোন, আর এটিএম কার্ডসহ নিখোঁজ বরিশালের মাহামুদ

রয়ে গেছে মোবাইল ফোন, আর এটিএম কার্ডসহ নিখোঁজ বরিশালের মাহামুদ

রয়ে গেছে মোবাইল ফোন, আর এটিএম কার্ডসহ নিখোঁজ বরিশালের মাহামুদ




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ চার দিন ধরে নিখোঁজ প্রিন্টিং ব্যবসায়ী মো. মাহামুদ ডাকুয়া (১৯)। গত বৃহস্পতিবার নীলক্ষেতের বাণিজ্য বিতান সুপার মার্কেটের ‘রাসেল বুক এন্ড প্রিন্টিং’ থেকে বিকাল ৪টার দিকে বের হয়ে আর দোকানে ফেরেননি তিনি। এমনকি বাসায়ও যাননি। এ ঘটনায় পরের দিন শুক্রবার মাহামুদের ভাই গোলাম কিবরিয়া নিউমার্কেট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তবে চার দিনেও তার খোঁজ পায়নি পুলিশ। তারা বলছে, মাহামুদের সন্ধানে তদন্ত চলছে।

 

 

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাহামুদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল বাকেরগঞ্জের ভবানীপুরে। বাবার নাম গোলাম মোস্তফা। ঢাকায় লালবাগের আজিজ কমিশনারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। চার ভাইয়ের মধ্যে মাহামুদ ছোট। তার উচ্চতা পাঁচ ফুট ৯ ইঞ্চি। মুখ গোলাকার। গায়ের রঙ শ্যামলা।

 

 

এদিকে চার দিন ধরে সন্তানের খোঁজ না পাওয়ায় পাগলপ্রায় মাহামুদের মা রুনু বেগম। ছেলেকে হারিয়ে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ তার। ছেলের শোকে চিৎকার করছেন আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।

 

 

মাহামুদের মেজো ভাই রাসেল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে প্যান্ট কেনার কথা বলে এটিএম কার্ড নিয়ে বের হয় মাহামুদ। নিজের মোবাইল ফোনটাও দোকানে রেখে যায়। যাওয়ার সময় বলে যায়, বুথ থেকে টাকা তুলে এলিফ্যান্ট রোডে যাবে প্যান্ট কিনতে। এরপর সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে যায়। কিন্তু মাহামুদ বাসায় ফেরেনি। পরবর্তীতে আত্মীয়-স্বজন, মাহামুদের বন্ধুবান্ধবদের কাছে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাইনি। পরদিন আমার আরেক ছোট ভাই গোলাম কিবরিয়া নিউমার্কেট থানায় জিডি করে।’

 

 

তিনি বলেন, ‘মাহামুদ খুবই শান্ত প্রকৃতির। রাসেল বুক এন্ড প্রিন্টিংয়ের দোকানটি মাহামুদই দেখভাল করতো। আমি অন্য একটা দোকান পরিচালনা করতাম। ফলে প্রিন্টিংয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ ওর কাছেই থাকতো।’

 

 

এক প্রশ্নের জবাবে রাসেল বলেন, ‘ওর মধ্যে কখনও এলোমেলো কিছু দেখিনি। তবে মাসখানেক আগে মিরপুরে গিয়েছিল দোকানের কাজে। সেখানে দুই জন স্মার্ট লোক মাহামুদকে ফলো করেছে। এমনকি নীলক্ষেতেও ওই দুই লোকই তাকে ফলো করছে বলে আমায় জানিয়েছিল। কিন্তু এরপর আর কখনও কিছু বলেনি আমাকে।’

 

 

রাসেল জানান, ‘ছোট ভাইকে খুঁজে না পেয়ে আমরা পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছি। রাতে বাসায় ফিরলেই মা ডেকে বলেন, রাসেল আমার মাহামুদ কই। আমার মাহামুদকে খুঁজে নিয়ে আয়। কিন্তু কী করবো? কোথাও খুঁজে পেলাম না ভাইকে।

 

 

নিউমার্কেট থানার এসআই মাহফুজার বলেন, ‘মাহামুদের সন্ধানে তদন্ত চলছে। পুলিশের পাশাপাশি ডিবি ও পিবিআই তদন্ত করছে। তবে এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।’

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD