‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বকে গুরুত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে’ Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসার সহ-সুপারসহ নিহত ২ বরিশাল সাংবাদিক ফোরাম (বিএসএফ) এর আত্মপ্রকাশ, সভাপতি সুমন॥ সম্পাদক শাহীন কাউখালীতে মাছে রং মেশানোর অভিযোগে চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই : এসএম জাকির কাউখালীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত পুলিশের সকল সদস্যকে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে: বিএমপি কমিশনার পাথরঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অগ্নি নির্বাপণ সার্টিফিকেট না থাকায় নগরীর ‘কস্তুরী’ রেস্তোরাঁ বন্ধ প্রবল তুষারপাত-বৃষ্টিতে আফগানিস্তানে নিহত ৬০ রমজানের যে আমল মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে হজ করার সমতুল্য




‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বকে গুরুত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে’

‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বকে গুরুত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে’

‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বকে গুরুত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে’




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়ানোর জন্য নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে শিগগিরই তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিশ্বনেতাদের প্রতি এমনই আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

 

তিনি বলেছেন, এসব (রোহিঙ্গা) মানুষ যাতে দ্রুত মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে বিশ্বকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে হবে। অন্যথায় সংকট থেকে তৈরি নিরাপত্তা ঝুঁকি শুধু আমাদের সীমানায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। আমরা এরই মধ্যে এর লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি।

 

 

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকালে ফ্রান্সে ‘প্যারিস পিস ফোরাম ২০২১’-এর চতুর্থ সংস্করণ ‘মাইন্ডিং দ্য গ্যাপ : ইমপ্রুভিং গ্লোবাল গভর্ন্যান্স আফটার কোভিড-১৯’-এ ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী আহ্বানটি জানান।

 

 

শেখ হাসিনা দাবি করেন, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়ে একটি বড় আঞ্চলিক সংকট এড়াতে সাহায্য করেছে বাংলাদেশ। তাদের মধ্যে এক মিলিয়নেরও বেশি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হচ্ছে।

 

 

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে অবশ্যই সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির এলাকা হতে হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো এটিকে অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা।

 

 

অঞ্চলটির প্রধান নেতাদের অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ এবং একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের জন্য বর্তমান সময়ে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করা উচিৎ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে আমাদের সব অংশীদারকে এর সঙ্গে যুক্ত করতে চাই।

 

 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছে। আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমরা এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি স্তরে বিনিয়োগ করে যাচ্ছি।

 

 

তার মতে, বহু বছর যাবত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সৈন্য ও পুলিশ দিয়ে অবদান রাখা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের মাধ্যমে তার দেশ সেই অবস্থান ধরে রেখেছে।

 

 

শেখ হাসিনা বলেন, ২২ বছর যাবত শান্তির সংস্কৃতির পক্ষে ওকালতি হচ্ছে যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমাদের পাল্টা-আখ্যান। বিশ্বব্যাপী অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্য ব্যবহৃত সম্পদ আমি টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্যবহারের আহ্বান জানাই। কোভিড-১৯ মহামারি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ও আর্থিক ব্যবস্থার গভীরে চলমান দুর্বলতাগুলো উন্মোচিত করেছে। এটি আবারও ধনী-গরিবের মধ্যকার ব্যবধান ঘুচিয়ে দিয়েছে। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে এবং সেই ফাঁক বন্ধ করতে হবে।

 

 

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাইরে রেখে পৃথিবীকে টিকা সুরক্ষিত করা সম্ভব নয়। মানুষের জীবন, বাড়িঘর এবং জীবিকা বাঁচাতে আমাদের জলবায়ুর উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়াতে হবে।

 

 

শেখ হাসিনার ভাষায়, ‘আন্তর্জাতিক সীমান্তে আটকে পড়া শত শত অভিবাসীর সমাধান খুঁজে বের করা প্রয়োজন। আমাদের অবশ্যই জাতি, বর্ণ এবং জাতিগত ভিত্তিতে বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের নারী এবং মেয়েদের সব কাঁচের দেয়াল ভাঙার অনুমতি দিতে হবে। আমাদের সবার জন্য উপযুক্ত কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে। আমাদের কাজ এবং সম্পদের সাথে কথার মিল রাখতে হবে।’

 

 

 

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, একটি আইনভিত্তিক বহুপাক্ষিক পদ্ধতি থাকতে হবে যা অবশ্যই সকল মানুষের জন্য ন্যায্য এবং অর্থবহ হতে হবে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে সারাবিশ্বে শান্তিই জাতীয় নিরাপত্তার সর্বোত্তম গ্যারান্টি। আমরা দ্বন্দ্বের পথ এড়িয়ে চলি এবং বিরোধের প্রশান্ত মীমাংসা চাই।

 

 

তিনি উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে স্থল ও সমুদ্রসীমা সমস্যা আলোচনা ও আইনসম্মত উপায়ে সমাধান করেছে। আমরা আমাদের ভূমিকে অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেব না।

 

 

শেখ হাসিনা তার ভাষণে আরও বলেন, বিশ্ব এখনো অনেক দ্বন্দ্বে জর্জরিত এবং মহামারির পর আন্তর্জাতিক শান্তি কূটনীতিতে উত্থান প্রয়োজন। পুরনো এবং নতুন দ্বন্দ্বের ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধান খোঁজার জন্য আমাদের একটি যৌথ দায়িত্ব রয়েছে।

 

 

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ফ্রান্স অনন্যভাবে স্থান পেয়েছে।

 

 

তার মতে, আমরা যে পৃথিবীকে আমাদের বাড়ি বলি, উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে বিভক্ত থাকার দরকার নেই। এক গ্রহের নাগরিক হিসেবে, আমাদের সহানুভূতি, মানবতা ও বৈচিত্র্য উদযাপন করে আমাদের ঐক্যকে চ্যাম্পিয়ন করতে হবে।

 

 

 

উল্লেখ্য, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এই ফোরামের আহ্বান করেন এবং ফোরামটির সভাপতি প্যাসকেল ল্যামি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বক্তৃতা প্রদান করেন।

 

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD