রেডিও আজ স্মৃতিতে থাকলেও বাস্তবে নেই Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




রেডিও আজ স্মৃতিতে থাকলেও বাস্তবে নেই

রেডিও আজ স্মৃতিতে থাকলেও বাস্তবে নেই




নিয়ামুর রশিদ শিহাব, গলাচিপা(পটুয়াখালী) সংবাদদাতা:প্রাচীন কালে নিত্য দিনের খবরাখবরের একমাত্র মাধ্যম রেডিও আজ বিলুপ্ত। সর্বত্র বিজ্ঞানের অত্যাধুনিক আবিষ্কারগুলো পৌছে যাওয়ায় রেডিওর কোনো কদর নেই।পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরেও রেডিও’র দেখা তেমন মেলে না। কিছু কিছু ঘরে রেডিও থাকলেও তা আজ বাচ্চাদের খেলার সামগ্রী হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে আবার নিজ যতেœ সাজিয়ে রেখেছে শোকেজে। গ্রামের বয়-বৃদ্ধদের কাছ থেকে জানা গেলো, আগেরকার দিনে নানা অনুষ্ঠান, বিনোদন ও খেলার বিবরনী ছাড়াও আবহাওয়া, রাজনৈতিক বিভিন্ন ধরনের খবরাখবর শোনার একমাত্র মাধ্যম ছিল রেডিও। বিশেষ করে উপকূল বাসীদের আবহাওয়ার খবর জানার প্রধান যন্ত্র ছিল এটি। এছাড়া জেলে সম্প্রদায় যারা গভীর সাগরে মাছ আহরনে যেত তাদের আবহাওয়ার খবরের জন্য ব্যবহার করত রেডিও।

রেডিওর প্রচলন শুরু হবার পর প্রায় ঘরে ঘরে জায়গা করে নেয় এই টেনডেস্টার নামে খ্যাত রেডিও। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে দেয়া হতো এটি। প্রাচীনকালে তরুন-তরুনী থেকে শুরু করে বয়-বৃদ্ধদের কাছে রেডিও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তরুন তরুনীরা বেশির ভাগ সময় নজরুল, রবীন্দ্র সংগীত, গানের ডালি, দূর্বার, সুখি সংসার, দর্পন, বাংলা ছায়াছবির গান, ম্যাগাজিন, নাটক শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত। কিন্তু আধুনিক যুগে মোবাইল, টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের কারনে রেডিও এখন সম্পূর্ণ বিলুপ্ত। বর্তমান মোবাইলের কারণে রেডিওর জনপ্রিয়তা সম্পূর্ণ হারিয়ে গেছে।

এখন আর আগের মত কেউ রেডিও শোনে না। গ্রাম গঞ্জে বিদ্যুৎ পৌছে যাওয়ায় দুই একটা ঘর ছাড়া রেডিও খুজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু কিছু প্রবীন লোকদের কাছে এখনো রেডিওর বিবিসি খবর পছন্দনীয়। দিন দিন হারিয়ে যাওয়া রেডিও আগামী প্রজন্মের কাছে শুধু স্মৃতি হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে বইয়ে পেলেও বাস্তবে রেডিওর দেখতে হলে যাওয়া লাগতে পারে বিভিন্ন জাদুঘরে। গলাচিপার রতনদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোঃ লুৎফুন নাহার জানান, ছোটকাল থেকে বিভিন্ন বিষয়ে যা কিছু জানা সবই প্রায় আজ এই রেডিওর কারণে। আমার ঘরে টেলিভিশন থাকলেও শত কষ্ট হলেও রেডিও সংগ্রহ রাখি। বাজারে এখন রেডিও পাওয়া দুষ্কর। শত দোকান খুজলেও রেডিও পাওয়া মুশকিল। তবুও সুখে দুখে রেডিও আজও আমার সঙ্গী।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD