রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ-এর স্থলাভিষিক্ত বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে শনিবার (১২ এপ্রিল) দেশে ফিরেছেন। সফরকালে তিনি উভয় দেশের সামরিক ও বেসামরিক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক বৈঠক ও সৌজন্য সাক্ষাতে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ৬ এপ্রিল রাশিয়া সফরে রওনা হন সেনাপ্রধান। সেখানে অবস্থানকালে তিনি রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল আলেকজান্ডার ফোমিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে প্রশিক্ষণ সহযোগিতা, উচ্চশিক্ষা, জনশক্তি রপ্তানি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
পরদিন সেনাপ্রধান সাক্ষাৎ করেন রাশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওলেগ সালিউকভের সঙ্গে। এই বৈঠকে সামরিক প্রশিক্ষণ বিনিময় ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি সংস্থা ‘রোসাটম’-এর মহাপরিচালকের সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প সংক্রান্ত নিরাপত্তা ও নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
সফরের অংশ হিসেবে সেনাপ্রধান রাশিয়ার সামরিক প্রযুক্তি ও অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘রোস্টেক’ এবং ‘রোজোবোরন এক্সপোর্ট’-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন, যেখানে সামরিক প্রযুক্তি রপ্তানি ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
রাশিয়া সফর শেষে ১০ এপ্রিল সেনাপ্রধান ক্রোয়েশিয়া সফরে যান। সেখানে তিনি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিহোমির কুন্দিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। উভয় দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা, যৌথ সামরিক উদ্যোগ এবং সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপন নিয়ে আলোচনা হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফরের মাধ্যমে রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে। বিশেষ করে সামরিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময় এবং যৌথ মহড়ার মাধ্যমে দুই দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেনাপ্রধানের এই সফর শুধুমাত্র কূটনৈতিক সাফল্য নয়, বরং বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের পথও প্রশস্ত করবে। এতে করে দেশের সামরিক সক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুসংহত হবে।
Leave a Reply