রাজাপুরে ১৫ বছরে সংস্কার হয়নি সড়ক, জানেন না প্রকৌশলী Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




রাজাপুরে ১৫ বছরে সংস্কার হয়নি সড়ক, জানেন না প্রকৌশলী

রাজাপুরে ১৫ বছরে সংস্কার হয়নি সড়ক, জানেন না প্রকৌশলী

রাজাপুরে ১৫ বছরে সংস্কার হয়নি সড়ক, জানেন না প্রকৌশলী




ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ বছরজুড়েই নতুন সড়ক নির্মাণ ও পুরনো সড়কে সংস্কার কাজ চললেও ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের একটি সড়ক গত ১৫ বছরে একবারও সংস্কার করা হয়নি। উপজেলা সদরের ডাকবাংলো মোড় থেকে এলএসডি ঘাট পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি সংস্কার করছে না কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার ফলে সড়কজুড়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এক পশলা বৃষ্টিতেই কাদাজলে মাখামাখি সড়কে ভোগান্তিতে পড়েন গাড়িচালক ও এই সড়কে চলাচল করা পথচারীরা।

 

 

জানা যায়, সড়কটি বহু বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় নৌপথে এলএসডি ঘাটে আসা সরকারি চাল ও গম খাদ্য গুদামে নিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় গাড়িচালকদের। এ ছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে নৌপথে আনা মালামালও এই ঘাট থেকেই আনা-নেওয়া করা হয়। গত ১৫ বছর আগে শেষবার এই সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। এরপর অজানা কারণে তা আর সংস্কার করা হয়নি। এই সড়কেই রয়েছে রাজাপুর ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসাসহ তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অর্ধশতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, চারটি করাতকল ও দুটি অটো রাইস মিল। উপজেলা সদরের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি ব্যবহার করেন কয়েক শ শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ।

 

 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সাইদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, উপজেলা সদরের মধ্যে এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি ও উপজেলা সদরের ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল এ সড়ক দিয়েই এলএসডি ঘাটে আনা-নেওয়া করে। তাই সড়কটি জরুরিভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন।

 

 

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. সুমন বলেন, সড়কটিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এখান থেকে কোনো গাড়ি গেলে আমাদের দোকানের ভেতর পানি প্রবেশ করে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। সড়কটিতে বর্ষা মৌসুমে সব সময় কাদাপানি থাকায় আমাদের দোকানগুলোতে ক্রেতা আসতে চায় না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িকভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

 

 

রিকশাচালক মো. জামাল হোসেন বলেন, মহাসড়কের সাথে এই সড়কটির সংযোগ রয়েছে। সড়কটি সংস্কার হলে উপজেলা সদরের মূল সড়কে যানবাহনের চাপ কমবে।

 

 

উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলাজুড়ে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আমরা খুঁজে খুঁজে গ্রামপর্যায়েও সড়ক ও সেতু নির্মোণ করছি। অথচ উপজেলা সদরের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির কথা কেউ আমাদের কখনো বলেননি। যেহেতু এখন জানলাম, দ্রুতই সড়কটি সংস্কারের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করব।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD