বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ।। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ’র বিরুদ্ধে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় ’যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার কলাপাড়া ইউএনও মো: মুনিবুর রহমান জেলা প্রশাসনের বরাত দিয়ে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ কলাপাড়া প্রেসক্লাবে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ’র বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখলের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী পাঁচ পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন ইনারা বেগম। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয় সোনাপাড়া মৌজার খাস খতিয়ান ৩১৯১/৩১৯ দাগে পাঁচটি বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া পাঁচটি ভূমিহীন পরিবারের পাঁচ একর জমি ভূমি অফিসকে ভুল তথ্য দিয়ে ডিসিআর কেটে মাছের ঘের করেন সোহাগ। সাত বছর আগে তার ডিসিআরের মেয়াদ শেষ হলেও এর প্রতিবাদ করায় হতদরিদ্র এসব পরিবারের নামে ঢাকার কেরানীগঞ্জ, পটুয়াখালী ও কলাপাড়ায় ১১টি মামলা করা হয়। ভুক্তভোগী এ পরিবারগুলো সোহাগের রোষানল থেকে মুক্তি পেতে প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা। বিষয়টি গনমাধ্যমে প্রকাশের পর পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ স্মারক নম্বর: ৩১.১০.৭৮০০.০০৯.০৬.০৩০.১৯-১৪১৪ আরডিসি উম্মে হাবিবা মজুমদার স্বাক্ষরিত কলাপাড়া ইউএনওকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়কে অবগত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।
কলাপাড়া ইউএনও মো: মুনিবুর রহমান জানান, ’জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সোহাগ’র বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের লিখিত নির্দেশনা পেয়ে এসি ল্যান্ডকে তদন্তপূর্বক মতামত সহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।’
কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ কুমার দাশ জানান,’ বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইউএনও মহোদয় বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
Leave a Reply