শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৫ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল :
জমি নিয়ে বিরোধে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের স্ত্রীকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর ও মেয়েকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ভূইয়ার হাওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ওই প্রতিপক্ষের স্ত্রী রাঙ্গাবালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ভূইয়ার হাওলা গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের সঙ্গে প্রতিবেশী ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বশির মোল্লার পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে।
শুক্রবার সকালে যুবলীগ নেতা বশির ওই বিরোধী জমির গাছ থেকে নারিকেল কাটতে যায়। সেখানে এসে প্রতিপক্ষ রহিম হাওলাদারের স্ত্রী হালিদা বেগম বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হালিদাকে জোরপূর্বক লোকজন নিয়ে বশির তার নিজ বাড়িতে টেনে হিচড়ে নিয়ে যায়। একপর্যায় বশির ও তার ভাই আলম মোল্লা তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে হালিদাকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এ খবর শুনে হালিদার স্বামী রহিম হাওলাদার ও তার মেয়ে রহিমা বেগম ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান। এসময় মাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে রহিমার মাথায় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে রহিম হাওলাদারকেও ধরে মারধর শুরু করলে স্থানীয়রা ছুঁটে এসে তাদেরকে রক্ষা করেন।
রহিম হাওলাদার বলেন, নারিকেল কাটতে বাঁধা দেওয়ায় আমার স্ত্রীকে বশির বাড়িতে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। জানতে পেরে আমি আর আমার মেয়ে সেখানে যাই। তখন আমার মেয়েকে কুপিয়ে আহত করে।
আমাকেও লাঠি দিয়ে পেটায়। আমাদের ডাক-চিৎকারে লোকজন এসে তাদের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেন। এ ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা বশির মোল্লা বলেন, আমাদের জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় কোর্টে মামলা আছে। স্থানীয় লোকজন কয়েকবার সালিসিও করছে।
আমি কয়টা নারিকেল বস্তায় করে বাড়ির মধ্যে দেই। এইয়া দেইখা দৌড়ে এসে হালিদা আমার মা’কে লাথি মারছে। তখন আমার বউ আর ভাবীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। আমরা ছাড়াইয়া দিছি। রহিমাকে কেউ কোপায়নি।এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, এ ঘটনায় আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply