শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে আবারও সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এই ঘটনা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, দেশজুড়ে বেজে ওঠে সাইরেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ইরান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় এবং তা শনাক্ত করেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়।
আইডিএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা হামলার মুহূর্তেই ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটের দ্রুত সাড়া দেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করা হয়। তবে টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে উঠে এসেছে, অন্তত চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আঘাত হেনেছে। এতে কিছু সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন, তবে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।
আল জাজিরা জানিয়েছে, রাজধানী জেরুজালেম এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেল আবিবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এর ফলে শহর দুটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা চরমভাবে জোরদার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জনগণকে ঘরের ভিতর থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
এই ঘটনার পর শুধু ইসরায়েল নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এই ঘটনার প্রভাব আরও বড় হতে পারে বলে ধারণা করছে কূটনৈতিক মহল। ব্লুমবার্গ জানায়, পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি। এমনকি এই সপ্তাহান্তেই যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে আক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো সামরিক পদক্ষেপ ইরানের জন্য অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হলেও, তারচেয়েও ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া পাবে আমেরিকা। তিনি বলেন, “ইরানি জাতি শান্তি কিংবা যুদ্ধ কারও দ্বারা চাপিয়ে নিতে রাজি নয়। আমরা সম্মানের সঙ্গে নিজেদের রক্ষা করব।”
এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি যে কতটা সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে তা স্পষ্ট। সংঘাত থামার বদলে যেন আরও বিস্তৃত হচ্ছে। কূটনৈতিক আলোচনার পথ যেন দ্রুতই বন্ধ হয়ে আসছে, এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
Leave a Reply