বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব ও অহংকার। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলাদেশ এবং দিনে দিনেই এসে দাঁড়িয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশের নিকট থেকে এদেশের জনগণ স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই পাকিস্তানের দুই প্রদেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ইস্যু নিয়ে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সেগুলোর মধ্যে কিছু তুলে ধরা যেতে পারে যেমন: ভূমিসংস্কার, রাষ্ট্রভাষা, অর্থনীতি বা প্রশাসনের কার্যক্রমের মধ্যে দু’প্রদেশের অনেক বৈষম্য, প্রাদেশিক স্বায়ত্ত শাসন, পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ও নানা ধরনের সংশ্লিষ্ট বিষয়েই সংঘাত ঘটে।
মূলত ভাষা আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি হতে থাকে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা বলা যায়। বাঙালিরা ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ক্ষমতায় গিয়েও পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ব বাংলাকে শাসন করার অধিকার পায়নি। তখন পূর্ব বাংলার জনগণ মূলত “২১-দফা” প্রণয়ন করেই জনগণকে সংঘবদ্ধ করে রাজনৈতিক আন্দোলনের চিন্তা-ভাবনা শুরু করে। আবার ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে আজকের আওয়ামীলীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করলে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের সেই সামরিক এবং বেসামরিক নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের জননেতা- শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রাপ্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসাতেই যেন অস্বীকার করে।
সুতরাং, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ তার প্রতিবাদে ‘অসহযোগ আন্দোলনের ডাক’ দেয়। তিনি ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে অর্থাৎ বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জন-সমুদ্রে ঘোষণা করেছিল এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তাঁরই এই ঘোষণায় সাধারণ মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এর পর ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চে আবারও বঙ্গবন্ধু ”স্বাধীনতার ডাক” দিলেই বাংলার মুক্তিকামী মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। দীর্ঘ ‘নয় মাস’ রক্ত ক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর চুড়ান্ত বিজয় সূচিত হয়। অর্জিত বাংলার স্বাধীনতা।
২৬ মার্চ আর ১৬ ডিসেম্বর দুটি দিবস কিংবা দিনকে বুঝতে বা বুঝাতে একটু হয়তো বা অনেকের সমস্যা হয়। ‘স্বাধীনতা দিবস’ ২৬ মার্চ আবার ‘বিজয় দিবস’ ১৬ ডিসেম্বর। “স্বাধীনতা” ও “বিজয়” দিবসকে নিয়ে বহুজনেরই উলটাপালটা হয়ে থাকে এবং অনেকের দুই জায়গার কথাগুলোকেই গুলিয়ে একাকার করে ফেলে। পরিস্কার ধারণার আলোকেই বলতে হয় যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে ২৬ মার্চ তারিখে পালিত হওয়া এক ‘জাতীয় দিবস’। এটিকেই ১৯৭১ সালের “২৫ মার্চ” রাতে তৎকালীন ‘পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ’ আনুষ্ঠানিকভাবেই স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। আর সেই মুহূর্তের “২৬ মার্চ” ‘স্বাধীনতা দিবস’ বলতে, “২৬ মার্চের রাত- ১২টা” থেকে স্বাধীনতাকেই এ দেশের জনতার ধরে আসছে। কারণটা হলো যে:- বারোটার ঠিক পর মুহূর্তে পূর্ব পাকিস্তান কিংবা এই বাংলাদেশের জমিনে যতধরণের পাকিস্তানী সেনারা ছিলো তারাই যেন হয়ে গেলো বিদেশী হানাদার শত্রু বাহিনী এবং তাদের নিজস্ব “জন্মভূমির মাটি” থেকে তাড়াতেই যে যুদ্ধ শুরু হলো- সেটাই হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার যুদ্ধ কথাটা- “একটু ভুল”। আর ‘২৬ মার্চ’ থেকে যদি আমরা শুরুর প্রক্রিয়াতে “স্বাধীন” না হই তাহলে, মুক্তিযুদ্ধটা কিন্তু আর- “মুক্তিযুদ্ধ” থাকে না, পাকিস্তানের সহিত গৃহ যুদ্ধ হয়ে যায়। সুতরাং, এমন বিদেশী দখলদার বাহিনীদের সহিত দীর্ঘ- ”নয় মাস” আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশে ‘বিজয়’ আনে, তাই তো আমরা পেয়েছি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস।
পৃথিবীতে মাত্র দুইটি দেশ ‘স্বাধীনতার ‘ডাক বা কথা’ ঘোষণা দিয়েই স্বাধীন হয়েছে। এই ‘বাংলাদেশ’ আর আমেরিকা। সে হিসেবে ‘২৬ মার্চ’ থেকেই বাংলাদেশ স্বাধীন, তা সাংবিধানিক ভাবেই প্রতিষ্ঠিত, এটা নিয়ে আদৌ তর্কের কোন অবকাশ নেই। বলা দরকার যে, পাকিস্তানের শাসকরাই চেয়ে ছিল ক্ষমতা সব সময় পশ্চিম পাকিস্তানীদের কাছে থাকুক। সুতরাং তারাই দিনে দিনে পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের মানুষকে যাঁতাকলে বন্দি রাখার কৌশল অবলম্বন করে। পূর্ব পাকিস্তানের ‘পাট’, ‘চামড়া’ আর ‘চা’ রপ্তানি করে যে বিদেশি মুদ্রা আয় হতো তাকেই পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়ন কাজে চতুরতা সঙ্গে তারা ব্যয় করতো। পূর্ব পাকিস্তানের চাষ করা ফসলের বাজার দাম পশ্চিম পাকিস্তানে কম আর পূর্ব পাকিস্তানে বেশি। এই সব অসংখ্য তথ্য রয়েছে যা পূর্বপাকিস্তান বা আজকের বাংলাদেশের জনগণ মেনে নিতেই পারেনি। ভেতরে ভেতরে একধরনের ক্রোধ সৃষ্টি হয়েছিল এই দেশের জনগণের। সারা পূর্বপাকিস্তান বা আজকের এদেশ তখন মিছিলের নগরী হয়ে ছিল। ১মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ‘ইয়াহিয়া খান’ সাহেব জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করার পর থেকে কার্যত পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান মুখো-মুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়।পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠির “মুখোশ উম্মোচিত” হয়। পূর্ব বাংলার মানুষ বুুঝতেই পারে এই বার আলাদা জন্ম ভূমি গড়তে হবে। তারপর এদেশের পরিস্হিতি যেন আয়ত্তের বাইরে চলে গেলে ৩ মার্চ ঢাকায় কারফিউ জারি হলো। এমন খবর জানার সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকার বাইরের যারা তাদেরও উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে ছিল। সেই সময় মিছিল মিটিংয়ের নতুন গতি পায়। ২ মার্চে আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান ডাকসুর ভিপি- “আ স ম আব্দুর রব” আর ৪ মার্চ ঢাকায় ‘স্বাধীনতার ইশতেহার’ পাঠ করে ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান সিরাজ। তাইতো এদেশে “কারফিউ”। আসলেই- মার্চ থেকে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। আওয়ামীলীগের ডাকেই সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দু’টা পর্যন্ত হরতালও পালিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এর নির্দেশে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত যেন অতিজরুরি কাজ করার জন্য সরকারি বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক খোলে রাখার নির্দেশ দিয়ে ছিল। তা ছাড়াও, তিনি- জরুরি সার্ভিস, হাসপাতাল, ঔষধের দোকান অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদ পত্র কিংবা সংবাদ পত্রের গাড়ি, পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন এসব সে হরতালের বাহিরে রেখে ছিল । এক কথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যা যা বলেছিল তাই ঘটেছিল। তাঁর নির্দেশেই পূর্ব বাংলার সকল জনতা একীভূত হয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে।আরো জানা দরকার ৬ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ‘ইয়াহিয়া খান’ রেড়িওতে জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দেয়। এতে ”২৫ মার্চ” জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে বসার ঘোষণা ছিল। আর তার সাথে বিশৃঙ্খলা যেন না হয়, এক প্রকার হুমকি বা ধমক দিয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তা একেবারেই যেন সহ্য করতে পারেন নি, তিনিও ৭ মার্চের ভাষণেই তার বহু জবাব দিয়েছিল।
আবার ১৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আমাদের পূর্ব পাকিস্তান আসে এবং ১৬ মার্চ মুজিব -ইয়াহিয়ার গুরুত্ব পূর্ণ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কাজ না হলে বঙ্গবন্ধু- শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ছাড়ার ডাক দেন। ক্ষুব্ধ “ইয়াহিয়া” রাগেই যেন ফোঁস ফোঁস করে। এমন ধরনের আরও ‘বৈঠক’ হয়। কিন্তু কোন আর কাজ হয় না। অনেক কালক্ষেপণের মধ্য দিয়ে যেন পশ্চিম পাকিস্তান থেকেই গোলা বারুদ, সৈন্য-সামন্ত এই দেশে আসতে থাকে। তখনই পূর্ব বাংলার মানুষরা যুক্তি তর্কের উর্ধ্বে উঠে স্বাধীনতা অর্জনের নেশায় উম্মত্ত হয়ে যায় এবং যা ছিল- গাইতি, বল্লম, রামদা, বর্শা, লাঠি এই সব নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। সুতরাং তাঁরাই তো আমাদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’, তাঁরা এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে।
“স্বাধীনতা সংগ্রাম” ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, শোষণের বিরুদ্ধে। ১৮ মার্চ এক অসহযোগ আন্দোলনে ১৬ দিনে পদার্পণ করে। এআন্দোলনের ঢেউ গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়ে। সংকটাপন্ন অবস্থায় এ দেশ, যুদ্ধ চলছে, চলছে লাশের মিছিল।২০ মার্চ জয়দেব পুর এর রাজ-বাড়ীতে অবস্থিত ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি দক্ষ ব্যাটালিয়ন তাদের হাতিয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রকেই ‘নস্যাৎ’ করে দেয়। তার পরপরে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ একত্রিত হয়েই প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সবাই মিলে টঙ্গী বা জয়দেব পুর মোড়ে অনেক ব্যারিকেড গড়ে তোলে নব নির্বাচিত ‘জাতীয় পরিষদের সদস্য’ শামসুল হকের নেতৃত্বে। ২২ মার্চেও শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য বাঙালী সংগ্রামে গর্জে ওঠে। এমন ভাবে যতই দিন গড়াচ্ছিল, ‘রাজনৈতিক সঙ্কট’ ততই গভীরতর হয়ে যাচ্ছিল।
এরপর আরও আসে ইতিহাসের ভয়ালতম কালো রাত্রি। সেই কালো রাত বাঙালির ইতিহাসে সব থেকে যেন আতংকের রাত। পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক সরকার থেকেই- “গণ হত্যার নির্দেশ” আসে। তখন ব্যাপক পরিমাণেই যেন পশ্চিমপাকিস্তানি সৈন্যের সমাগম ঘটে। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু হয় এমন রাতেই। ২৫ মার্চ কালোরাত ও অপারেশন সার্চলাইট অপারেশনে নেমেছিল সেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নির্বিচার হত্যার সঙ্গে যেন জ্বালাও-পোড়াও স্বাধীনতাকামী বাঙালীর কণ্ঠ বুলেট দিয়েই চিরতরে স্তব্ধ করার আনুষ্ঠানিক যাত্রা। এ অপারেশনের মূল লক্ষ্য ছিলো ইপিআর- (“ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস”, বর্তমানে বিজিবি) এবং এদেশের পুলিশসহ বাঙালী সেনা সদস্যদের নিরস্ত্র করা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামীলীগ এর নেতা এবং গুরুত্বপূর্ণ ১৬ জন ব্যক্তির বাসায় হানা দিয়ে তাদের গ্রেফতার। জ্বলছে ঢাকা, মরছে বাঙালী। একই সঙ্গে শুরু হয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার প্রথম প্রহর।
এমন ভাবেই ‘মুক্তিযুদ্ধ’ চলতে চলতে যখন হানাদার পাকবাহিনী বুঝে গেল যে পরাজয় তাদের অনিবার্য, তখন তারা এ পূর্ব বাংলাকে মেধা-শূন্য, পঙ্গু, কিংবা নেতৃত্বহীন করার জন্যেই চোদ্দ ডিসেম্বর ‘রাজাকার’, ‘আল-বদর’, ‘আল-শামস’ বাহিনীর সহযোগিতাতেই অন্ধকার রাতে হত্যা করেছে- অধ্যাপক, প্রকৌশলী, ডাক্তার, আইনজীবী, শিল্পী ও কবি-সাহিত্যিকদের।তথ্যের ভিত্তি আলোকেই প্রথম সারির দুই শতাধিক বাঙালি বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যার মাধ্যমে ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের সূচনা করেছিল তারা।
এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই প্রায় দু’ লাখ মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়েই যেন এমন স্বাধীনতা৷ আবার বহু জন তাঁদের মূল্যবান সহায়, সম্পদকেও হারিয়ে ছিল। ‘অগ্নি সংযোগ’, ‘নারী ধর্ষণ’, ‘গণহত্যা’, ‘সংঘর্ষ’ বা ‘হামলা’, আবার লুটতরাজের মতোই বহু অপ্রীতিরক ঘটনা- ঘটে যাওয়ার পরপরই বাঙালির চেতনায় যেন স্বাধীনতা ছিল। ইশতেহারে বলা আজ থেকে “স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ” এমন ঘোষণার কথা পূর্ণ বাংলার মানুষের প্রাণশক্তি, আর তাই তো ৫৪ হাজার বর্গমাইলের ৭ কোটি’ মানুষদের আবাস ভূমির নাম পাবে ‘বাংলাদেশ’, এতেই বাঙালি গর্বিত। মুক্তিযোদ্ধারা “যুদ্ধের পর যুদ্ধ” সু-কৌশলে চালিয়েই পাক-বাহিনীর আত্ম সমর্পণের মধ্য দিয়েই “৭১” এর মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় করেছে। সুতরাং, অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন বাংলাদেশের। সারা বিশ্বের মানচিত্রে সংযোজিত হয় ‘নতুন ও স্বাধীন’ দেশ, ”গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ”। এ বাংলার জনপ্রিয় নেতা, জেল থেকে বাহির হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তিনিই এদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই যুগে যুগেই এমন কালজয়ী, সর্বশ্রেষ্ঠ মহা-নায়কের হাত ধরেই অর্জিত হয়েছিল- লাল সবুজের জাতীয় পতাকা আর পেয়ে গেছে বাংলার এই “স্বাধীনতা”।
লেখক: নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।
Leave a Reply