মামলার "গ্যাড়াকলে" শিক্ষক কামাল Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




মামলার “গ্যাড়াকলে” শিক্ষক কামাল

মামলার “গ্যাড়াকলে” শিক্ষক কামাল




ভয়েস অব বরিশাল ॥
জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অনাপত্তিপত্র সৃষ্টি করে প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করায় পটুয়াখালীর ধূলিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাকেরগঞ্জের ডি.জি.এল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হানিফ তালুকদার মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক অনুতোষ চন্দ্র বালা উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলায় অভিযুক্ত কামাল হোসেন মোল্লা বাকেরগঞ্জের চরলক্ষ্মীবর্ধণ এলাকার মৃত ফুলু মোল্লার ছেলে।

মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, পটুয়াখালী বাউফলের ধূলিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ চিকিৎসা নিতে দেশের বাহিরে যায়। এ সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন অস্থায়ী ভাবে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারী জসিম উদ্দিন দায়িত্বে থাকাকালিন সময় ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেন মোল্লা বাকেরগঞ্জের ডি.জি.এল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন করতে তার স্বাক্ষরিত একটি অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করেন।

অনাপত্তিপত্রে কামাল হোসেন মোল্লা তার ইনডেক্স নং- ১০২০১২১ এবং ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী থেকে সে ধূলিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজে কর্মরত আছেন বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু গত ৮ জানুয়ারী আবেদন পত্র বাছাইয়ের সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনবল কাঠামো অনুসারে কামাল হোসেন মোল্লার অভিজ্ঞতা প্রমাণের প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র না থাকায় তা গ্রহণ করেননি। বিষয়টি অবগত হয়ে কামাল হোসেন মোল্লা ২ জানুয়ারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনের জাল স্বাক্ষরিত এবং জাল সীল সংগ্রহ করে একটি অনাপত্তিপত্র সৃষ্টি করে তাতে ২০০৪ সাল থেকে ১০ ফেব্রুয়ারী থেকে ধূলিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজে কর্মরত আছেন বলে উল্লেখ করেন।

পরে ১০ জানুয়ারী ওই অনাপত্তিপত্রের কপি ডি.জি.এল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হানিফ তালুকদারের কাছে উপস্থাপন করেন। কিন্তু গত ১৯ মার্চ হানিফ তালুকদার জাল জালিয়াতির বিষয়টি অবগত হয়ে ধূলিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়ে আবেদন করলে একই দিন সহকারী প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন কলেজ অধ্যক্ষকে কামাল হোসেন মোল্লার জাল জালিয়াতির বিষয়টি জানান। এঘটনায় মামলাটি দায়ের করলে বিচারক ওই নির্দেশ দেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD