শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:যশোরে মাদক কারবারিদের অত্যাচারে তহমিনা খাতুন (২৪) নামে এক নারীর পরিবার বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। তিনি চৌগাছা উপজেলার মাশিলা গ্রামের আশারফ শেখের মেয়ে। সর্বশেষ পুলিশে অভিযোগ করতে যেয়ে উল্টে অপমানের শিকার হতে হয়েছে তাদের। এ ঘটনায় শুক্রবার সকাল ১১ টায় যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ভুক্তভোগি পরিবার।
লিখিত অভিযোগে তহমিনা খাতুন জানিয়েছেন, তাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশি চিহিৃত মাদক কারবারি সন্তোষ শেখের ছেলে বাদশা শেখ (৪৫), আবদুল মুজিদ শেখ (৫৫), বাদশা মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন (২৫), সওদাগর (২০), মৃত গোলাম রসুলের ছেলে মোস্তফা (৬৫) ও জামাল হোসেনের স্ত্রী খুশি (২২) এর বিরোধ চলে আসছিলো।
সম্প্রতি একই গ্রামের তফজেল শেখ নামে এক মাদক কারবারি ইয়াবাসহ মাশিলা বিজিপির হাতে আটক হয়। আটক মাদক কারবারি তফজেল শেখের সাথে মাদক কারবারীদের উল্লেখ্যদের গোপন সক্ষতা রয়েছে।
২৩ অক্টোবর আসামিরা তাদের বাড়িতে এসে অভিযোগ তুলে বিজিপি সদস্যদের হাতে তফজেল শেখকে তারা ধরিয়ে দিয়েছে। এ সময় তাদের পরিবারের সাথে আসামীদের বিরোধ হয়। এক পর্যায় বাদশা শেখের নেতৃত্বে আবদুল মুজিদ শেখ, জামাল হোসেন, সওদাগর, মোস্তফা, ও খুশির নেতৃত্বে ১০-১৫ জন তার মা শেফালী খাতুনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। বর্তমান তার মা যশোর চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনার দিন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা আত্মীয় আশা (৪৫) ও প্রিয়া (১৭) কে উল্লেখ্য আসামিরা মারপিট ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। প্রিয়া চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রাথমিক সেবা নেয়। যার রেজি নং-৬৮৭৪২।
ঘটনার পর তারা চৌগাছা থানায় খবর পাঠালে ঘটনাস্থলে আসেন থানার এসআই কাওসার ও এসআই সালাহউদ্দিন। তবে পুলিশ সদস্যরা তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। উল্টে আসামি পক্ষদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায় করে তাদের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেয়। যাতে করে তারা থানায় অভিযোগ না করতে যায়। এমনকি পুলিশ সদস্যদের সামনে আসামিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের মারধোর করবার হুমকি দেন।
২৫ অক্টোবর ওই আসামিরা তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। তার মা বর্তমান হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বাদশা শেখ, আবদুল মুজিদ শেখ, জামাল হোসেন, সওদাগর, সোস্তফা, ও খুশি তাদের ভিটা বাড়ি দখল করে নিয়েছে। বর্তমান তারা বাসস্থান হারা হয়ে পড়েছে। চৌগাছা থানার এসআই কাওসার ও এসআই সালাহউদ্দিনের ভয়ে কোনো আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে তাদের জায়গা দিচ্ছেনা। তিনি যশোর পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply