সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বৈরি আবহাওয়া ও লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সাগরে ইলিশ ধরতে যেতে পারছেন না পটুয়াখালীর জেলেরা। এতে অসহায় অবস্থায় পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
গত শুক্রবার থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলার পাশাপাশি পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে পরবর্তীতে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফর।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় দেখা গেছে, আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করা রয়েছে মাছ ধরার ট্রলারগুলো। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চল মহিপুরের বিভিন্ন এলাকায় শত শত ট্রলার নোঙর করা অবস্থায় দেখা গেছে।
মহিপুরের মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, সংকটের মুখে বিপুল টাকা বিনিয়োগ করে হতাশায় পড়েছেন মহাজন এবং জেলেরা। ট্রলার মেরামত করে সাগরে যাওয়ার উপযোগী করতে একেকজন ট্রলার মালিক ২-৩ লাখ টাকা খরচ করেন। ট্রলারের তেল কেনা এবং শ্রমিক-মাঝিদের এরই মধ্যে ২৫-৩০ হাজার টাকা অগ্রিম দিতে হয়েছে। সময়মতো বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলতে না পারলে শুরুতেই লোকসানে পড়তে হবে তাদের।
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ৩৩ হাজার ১৫২ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর তারা সাগরে নাবার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাদের আবার আটকা পড়তে হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানিয়েছেন, লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল। বঙ্গোপসাগরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতের ব্যাপারে জেলেদের অবহিত করা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলেই তারা সাগরে নামার অনুমতি পাবেন।
Leave a Reply