বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি: পটুয়াখলীর কুয়াকাটা বাস টার্মিনালের যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকলেও ময়লার স্তুপে পরিনত হয়েছে পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকা। টার্মিনালে থাকা বাস ধোয়া পানি জমে শ্যাত শ্যাতে পরিবেশ তৈরী হয়েছে। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে নাকাল আগত পর্যটকরা।
দেশ বিদেশ থেকে আগত পর্যটকরা বাসস্ট্যান্ডে নেমেই দূর্গন্ধে নাক চেপে ধরে বাসস্টান্ড ত্যাগ করছে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বাস টার্মিনালের এমন পরিবেশ দেখে নেতিবাচক ধারনা পোষণ করছে পর্যটক দর্শনার্থীরা।
বাস টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। সবেমাত্র ৬৫-৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে বাস টার্মিনালের ভিতরের সড়ক সহ পার্কিং জোনে বিছানো কংক্রিট নস্ট হয়ে গেছে। ময়লা আবর্জনা ফেলার সু নির্দিস্ট কোন ডাস্টবিন না থাকায় এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবী করছেন বাসের হেলপার ড্রাইভাররা। এজন্য পৌর কতৃপক্ষের অবহেলাকেই দ্বায়ী করছেন পর্যটকসহ ভূক্তভোগীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাস স্টান্ডের বাউন্ডারি ওয়ালের চার পাশের সব খানেই ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। স্তুপ করা এসব ময়লা আবর্জনায় মশা মাছির সৃষ্টি হয়েছে। এসব থেকে ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশা সহ নানা রকম পানিবাহিত রোগ জীবানু ছড়ানোর আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, দেশী বিদেশী অনেক পর্যটক রাতে পরিবহণে যাত্রা শুরু করে সকালে এসে কুয়াকাটা পৌর বাস টার্মিনালে নামে। বাসস্টান্ডের নোংরা পরিবেশ দেখে আগত পর্যটক দর্শনার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে। জনপ্রতিনিধিদের সেবা, দ্বায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে পর্যটকরা।
খুলনা থেকে আগত পর্যটক লায়েকুজ্জামান লাক্কু দম্পত্তি বলেন, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করার জন্য এখানে আমরা এসেছি। এখানে নেমেই দূর্গন্ধে নাক চেপে ধরে বাসস্টান্ড থেকে বের হতে হয়েছে। পর্যটন এলাকার বাস টার্মিনালের এমন বেহালদশা রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলেছে।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতিতে ভরপুর সাগরকন্যা কুয়াকাটা। কুয়াকাটার সৌন্দর্য অবলোকন করতে এসে প্রথমেই বাসস্টান্ডের দূর্গন্ধ নাকে নিয়ে যেতে হয়। বাস টার্মিনালে নেমেই চোখে পড়ে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ, যেটা খুবই দু:খজনক। পর্যটন এলাকার পরিবেশ এমন হলে এখানে মানুষজন আসবে না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবীদ সমিতি (বেলা) বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিঙ্কন বায়েন বলেন, পর্যটন কেন্দ্র পৌরসভা এলাকায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার কোন সুযোগই নেই, পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সু-নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে সরকার প্লাস্টিক বর্জের উপর খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন। প্লাষ্টিক জাতীয় কোন পণ্য একবারের বেশী ব্যবহার করতে পারবে না এবং ব্যবহারের পর সু-নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তাই কুয়াকাটা পৌর বাস টার্মিনালে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ করলে একদিকে পর্যটক মুখ ফিরিয়ে নিবে, অপরদিকে পর্যটন শিল্পের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ ব্যাপরে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বাস টার্মিনালের জন্য নির্ধারিত ক্লিনার রয়েছে, তাদের কাজ হচ্ছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, তবে এখনই পরিস্কার করার ব্যবস্থা করতেছি।
Leave a Reply