রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছেন। বেতনের দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষকদের মানববন্ধন। এর অংশ হিসেবে পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরাও মানববন্ধন করেন। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষকরা জানান, স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যন্সমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় থাকা ৭৭৭ জন শিক্ষক গত ১৮ মাস ধরে বেতনভাতা পাচ্ছেন না। এ কারণে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রকৌশলী সঞ্জয় চন্দ্র সরকার, মো. সালাউদ্দিন, প্রকৌশলী মাসুমা আক্তার প্রমুখ।
পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, বিষয়টি অমানবিক, আমরা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এই শিক্ষকদের উপর নির্ভর করে পলিটেকনিকের ৭০ শতাংশ কাজ চলামন রয়েছে। তাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর পাশাপাশি বেতনভাতা চলমান রাখার দাদি জানাচ্ছি।
এদিকে, চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর ও আঠারো মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার সকালে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শহীদ মিনার চত্বরে ও মুল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় বাংলাদেশ পলিটেকনিক টিচার্স ডেডারেশন (বিপিটিএফ) ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখার সভাপতি মো. আলমগীর বলেন, এই শিক্ষকদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের জন্য শিক্ষামন্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে প্রতিমন্ত্রী বরাবরে ডিও লেটার দেন। কিন্তু তার পরেও বিষয়টি বাস্তবে রূপ নেয়নি। অবিলম্বে শিক্ষকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও দ্রুত রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে এই প্রকল্পটি শুরু হয়। পরে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে দুই ধাপে ১০১৫ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। যার মধ্যে বর্তমানে ৭৭৭ জন কর্মরত আছেন। পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আছেন ১১ জন।
প্রকল্প শেষ হয় ৩০ জুন ২০১৯। এরপর ২০১৯-২০২০ সালে তাদের রাজস্ব খাত থেকে এক বছরের বেতন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২২ মে ২০১৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেন।
Leave a Reply