শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল :
বরিশাল নগরীতে শব্দ দূষণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।নগরীর বিভিন্ন স্থানে স্বাভাবিকের চেয়ে ২০ ডেসিবল বেশি হারে শব্দদূষণের অস্তিত্ব পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।পরিবেশ আইন অমান্য করে যত্রতত্র উচ্চশব্দে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার,উচ্চ শব্দের থ্রি-হুইলার চলাচল এবং অপ্রয়োজনে পরিবহনের হর্ন বাজানোর কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।এদিকে অতিরিক্ত শব্দ দূষণের কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি ও মস্তিস্কের চিন্তাশক্তি লোপ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়,নগরীর বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে শব্দের সহনীয় মাত্রা হলো ৭০ ডেসিবল।অথচ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরীায় শব্দের সহনীয় মাত্রা ৭০ ডেসিবলের বেশী পাওয়া গেছে।পরিবেশ অধিদপ্তরের পরীক্ষায় নতুন বাজার টেম্পোস্ট্যান্ড এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা ৯৩.৫ ডেসিবল এবং সর্বনিম্ন ৯৩.২ ডেসিবল পাওয়া গেছে।রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় পাওয়া গেছে সর্বোচ্চ ৯২.৩ ডেসিবল এবং সর্বনিম্ন ৮৯.১ ডেসিবল।নথুল্লাবাদ কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা পাওয়া গেছে ৯১.১ ডেসিবল এবং সর্বনিম্ন পাওয়া গেছে ৮৫ ডেসিবল।পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ,মন্দির,গির্জা,হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারী দপ্তরের সামনে পরিবহনের হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ।কিন্তু এই আইন অমান্য করে যত্রতত্র এসব জায়গায় বাজানো হচ্ছে উচ্চ শব্দের হর্ন।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আরেফিন বাদল জানান,নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকায় শব্দদূষণ সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে।পরিবেশ আইন মেনে চললে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।পরিবেশ আইন মানতে বাধ্য করতে নগরীর বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথা জানান তিনি। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা.ভাস্কর সাহা জানান,মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণ মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ।এর কারণে শ্রবণশক্তি ও মস্তিস্কের চিন্তাশক্তি লোপ পায়।এছাড়াও হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়।
Leave a Reply