শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি:
বাউফলে অবৈধভাবে উত্তোলন করা ভূগর্ভস্থ বালু।কোথাও সরকারি খালের মধ্যে কোথাও পুকুরে আবার কোথাও ফসলি জমির মধ্যে ড্রেজার বসিয়ে তোলা হচ্ছে ভূগর্ভস্থ বালু।আর এই বালুর অধিকাংশই উত্তোলন করছেন ঠিকাদাররা।সব মিলিয়ে যেন ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের মহা উৎসব।
এ বিষয়ে একবারেই নিশ্চুপ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।বালু মহাল এবং মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোন মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না।ওই আইনের (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লেখ রয়েছে ড্রেজিং কার্যক্রমে বাল্কহেড বা প্রচলিত ড্রেজার ব্যবহার করা যাইবে না।এবং সর্বোপরি এভাবে বালু উত্তোলন আইনত দন্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচ্য হবে।
কিন্তু সরকারের এই আইন অবজ্ঞা করে স্থানীয় প্রভাবশালী ঠিকাদাররা অতি মুনাফার আশায় এমন অনিয়ম করলেও স্থানীয়দের অভিযোগ এ বিষয়ে নিশ্চুপ সরকারের সংশ্লিষ্ট তদারককারী প্রতিষ্ঠান।স্থানীয়রা এ নিয়ে বিক্ষুব্দ হলেও প্রভাবশালীরা এর সাথে জড়িত থাকায় এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে ভয় পায় সাধারন মানুষ।শুক্রবার সরেজমিনে বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের নির্মানাধীন একটি সড়ক পরিদর্শন করে দেখা যায় সেখানে ফসলি জমির মধ্যে ড্রেজার বসিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে ভূগর্ভস্থ বালু।স্থানীয়লা অভিযোগ করেন নিষেধ করা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জোরপূর্বক ফসলি জমিতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন।খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই ঠিকাদারী কাজের তদারক করছেন মোঃকামাল হোসেন।
তিনি স্থানীয় এক প্রভাবশালী ঠিকাদার।স্লোব বাংলাদেশের ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন পকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো.দেলোয়ার হোসেন বলেন,এভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া সহ দেখা দিতে পারে ভূমিধ্বস।এছাড়াও আবাদি জমি দেবে যেতে পারে যার ফলে দীর্ঘ মেয়াদে পরিবেশের উপর এর একটি কুফল পড়বে।
তাই এখনই ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা পিযূষ চন্দ্র দে বলেন,আইনত এভাবে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই।আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম।এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত কারো বিরুদ্ধেই কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
Leave a Reply