মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
আজমল হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি॥ অতিখরার পর এবার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তরমুজ ক্ষেতে হানা দিয়েছে জোয়ারের পানি। লোকসানের আশঙ্কায় আগে ভাগে তরমুজ কেটে বাজারজাত করার চেষ্টায় বাউফলের বিভিন্ন চরের চাষিদের।
সরেজমিন উপজেলার কচ্ছবিয়ার চরে দেখা গেছে, পূর্ণিমার অতি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে বিনস্ট হয়েছে প্রায় ২৫-৩০ একর ক্ষেতের তরমুজ। এই ক্ষেতের তরমুজ পূর্নমাত্রায় পরিপক্ক হতে আরো ৮-১০ দিন সময় লাগতো। জোয়ারের পানিতে ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন পাঁচ-খাজুড়িয়া, রায়সাহেবের চর, চরনিমদী, চরঈশানসহ কয়েক চরের তরমুজ চাষি। চর কচ্ছবিয়ার চাষি বাকলা তাঁতেরকাঠি গ্রামের ফিরোজ চৌধুরির ১০ একর জামির ক্ষেতের তরমুজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতি এড়াতে আগেভাগে কেটে বরিশাল পাঠিয়েছেন। পরিপক্ক হওয়ায় তার ক্ষেতের বাঙ্গি বাজারে বিক্রি করতে পেরেছেন মাত্র তিন-চার দিন আগে। ঠিক এই মুহুর্তে পূর্ণিমার অতিজোয়ারের পানি হানা দিয়েছে তার তরমুজ ক্ষেতে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে একই চরের বাবুল খানের বাড়ন্ত তরমুজসহ ক্ষেতের লতানো তরমুজ গাছ।
ফিরোজ চৌধুরী জানান, প্রথম দফায় বাঙ্গি বিক্রি করতে পেরেছেন মাত্র। এক দফায় তরমুজ কেটে বরিশাল শহরে পাঠিয়েছেন মাত্র। এই মূহুর্তে তরমুজ ক্ষেতে অতিজোয়ারের পানির হানায় বিশাল অঙ্কের ক্ষতি হবে তার।
বাবুল খান নামের আরেক তরমুজ চাষী জানান, রবি ফসলেও দিন দিন বাড়ছে বিপদ-আপদ। খরায় এবার তরমুজে পোকামাকড়ের আক্রমন বেশি ছিল। এখন জোয়ারের ক্ষেতের বিশাল অংশ তলিয়েছে। অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতির মুখে পরবেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন রবি ফসলের সঙ্গে চলতি মৌসুমে ৫০ হেক্টরে ক্ষীরা, ১৬০ হেক্টরে বাঙ্গি ও ৯শ’ ৫০ হেক্টরে তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে।
জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন চরের নীচু এলাকাসহ তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে আমাদের লোকজন মাঠে চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে পরিপক্কতা আসায় তরমুজের ক্ষতির আশঙ্কা কম। ২৫-৩০ শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।’
Leave a Reply