সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অবস্থানের সময় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা করলে কোনভাবে মেনে নেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম। আজ শনিবার (২৭ মার্চ) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উপলক্ষ্যে নেছারাবাদ (স্বরুপকাঠী) উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ সময়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এমন একটি চমৎকার সময়েও দেশের অভ্যন্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর জন্য পাকিস্তানি প্রেতাত্বাদের কেউ কেউ মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে এ বাংলাদেশ রাম-রহিমের বাংলাদেশ, এ বাংলাদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশে নতুন করে যদি কেউ ধর্মীয় উসকানি সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। কোনভাবেই এ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে দেওয়া হবে না।”
এ সময় স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “১৯৭২ সালে আমাদের অর্থনীতির আকার ছিল ০.৫৮ বিলিয়ন ডলার যা আজ ৩৪৮ বিলিয়ন ডলার, মাথাপিছু আয় ছিল ১২৯ ডলার যা বর্তমানে ২০৬৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে, দারিদ্র্যের হার ছিল ৮৮ শতাংশ যা আজ ২০ শতাংশে নেমেছে, গড় আয়ু ছিল ৪৭ বছর যা এখন ৭২.৬ বছর, শিক্ষার হার ছিল ২০.৯ শতাংশ যা আজ ৭২.৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল মাত্র ৪০০ মেগাওয়াট, আজ ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, খাদ্য উৎপাদন ছিল ১ কোটি ৮ লক্ষ টন, আজ ৪ লক্ষ ৫৪ লক্ষ টন খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। ১৯৭২ সালে আমাদের বাজেট ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার, এখন ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট বাংলাদেশ প্রণয়ন করেছে, বাষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ছিল ৫০১ কোটি টাকা, যা এখন ২ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। যে স্বপ্ন দেখে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়েছিলেন। এ সাফল্য সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃপ্ত প্রত্যয়, বুদ্ধিমত্তা, সাহসিকতা, সততা এবং পরিশ্রমের কারণে।
প্রসঙ্গত, নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান রনি দত্ত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ বশির গাজী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ কিবরিয়া, নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোহাম্মদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত ও সাংবাদিক নজরুল
Leave a Reply