বরিশালে কোচিং সেন্টারে একাধিক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, শিক্ষক এনামুলকে বাঁচাতে গোপন বৈঠক Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরিশালে কোচিং সেন্টারে একাধিক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, শিক্ষক এনামুলকে বাঁচাতে গোপন বৈঠক

বরিশালে কোচিং সেন্টারে একাধিক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, শিক্ষক এনামুলকে বাঁচাতে গোপন বৈঠক




নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল নগরীর হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক এনামুল হক নিজামী নাসিমের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে ওই স্কুলের ৯ম ও ১০ম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও স্কুল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, এনামুলের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ আমলে না উল্টো তাকে বাঁচাতে গত শনিবার রাতে ওই বিদ্যালয়ে গোপন বৈঠক করেন হালিমা খাতুন স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক এনামুল হক নিজামী নাসিম নগরীর গোঁড়াচাঁদ দাস রোডের কালভার্ট সংলগ্ন এলাকায় একটি ভাড়া বাসার নিচতলায় গত কয়েক মাস ধরে হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কোচিং করিয়ে আসছেন। গত বুধবার কোচিং শেষ হলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে আরও পড়ানোর অজুহাতে কৌশলে কোচিং সেন্টারে রেখে অন্য ছাত্রীদের ছেড়ে দেন। পরে তিনি ঐ ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এ সময় ঐ ছাত্রী কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে ছেড়ে দেন শিক্ষক এনামুল।
এ নিয়ে ঐ ছাত্রীর সহপাঠী এবং তাদের অভিভাবকরা জানান, এটাই প্রথম না। এর আগেও শিক্ষক এনামুল একাধিক শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে। তিনি প্রায়ই অশ্লীল এবং কু-প্রস্তাব দেন। এ ঘটনা বিদ্যালয়ের অন্য ছাত্রীরা জানতে পেরে বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করেন। তারা কাগজে ‘নাসিম স্যার থেকে সাবধান’ শ্লোগান লিখে দেয়ালে সাঁটিয়ে দেন।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক অভিভাবকসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কয়েক দিন আগে নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে প্রমোশন দেয়ার কথা বলে এক শিক্ষার্থীকে বিকেলে কোচিং সেন্টারে ডাকেন এনামুল। ঐ ছাত্রী কোচিংয়ে গিয়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের না দেখে ভয় পায়। এরপর এনামুল তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। রাজি না হলে প্রমোশন দেয়া হবে না বলে তাকে জানিয়ে দেয়। এ ঘটনা ঐ ছাত্রী তার সহপাঠীদের জানান। পরে অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক মো. ফখরুজ্জামানকে জানালে তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। ছাত্রীরা লিখিত অভিযোগ দিলে শিক্ষক এনামুল কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দিয়ে জোর করে তার পক্ষে একটি সাফাই লেখা তৈরি করেন।

এদিকে এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর অংশ হিসেবে গত শনিবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষক ও স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বৈঠকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার পাঁয়তারা চালান বলে অভিযোগ রয়েছে।

হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফখরুজ্জামান বলেন, তিনি এসবের কিছুই জানেন না। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, তার কাছে একটা লিখিত দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

অভিযুক্ত শিক্ষক এনামুল হক নিজামী নাসিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD