বরগুনায় বিনা নোটিশে ভাঙা হলো কৃষকের স-মিল Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরগুনায় বিনা নোটিশে ভাঙা হলো কৃষকের স-মিল

বরগুনায় বিনা নোটিশে ভাঙা হলো কৃষকের স-মিল

বরগুনায় বিনা নোটিশে ভাঙা হলো কৃষকের স-মিল




বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের ষোল হাওলাদার এলাকায় বিরোধীয় জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মামলায় আদালতের নির্দেশে ও বিনা নোটিশে ভেঙে ফেলা হয়েছে মো. জামাল হাওলাদার নামে এক বর্গা চাষির স-মিল, মুরগির ফার্ম ও পানের বরজ। এতে বর্গা চাষি সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন। তার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী দাবি করেন।

 

 

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া মৌজার হাল এসএ ৩১৬ নং খতিয়ানের ৯১৮, ৯৬৬ ও ৯৬৮ নং দাগ থেকে ১ একর ১০ শতাংশ জমি একই এলাকার বর্গাচাষি স্থানীয় নূরুল ইসলাম হাওলাদারের পুত্র মো. জামাল হাওলাদার জমির তৎকালীন মালিক আ. রশিদ মাস্টার ও মো. কবির মিয়া গংয়ের কাছ থেকে বার্ষিক এক লাখ ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া নেন।

 

 

১৫ বছর পর্যন্ত বর্গাচাষি ওই জমিতে ১টি স-মিল, ২টি মুরগির ফার্ম ও ৮টি পানের বরজ নির্মাণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু জমি নিয়ে সোনাবরু গংয়ের সঙ্গে মো. আউয়াল হাওলাদার গংয়ের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। যা আদালতে পর্যন্ত গড়িয়েছে। ওই মামলায় আদালত থেকে এক পক্ষকে (সোনাবরু বিবি গংয়ের) চূড়ান্ত ডিগ্রি দিয়ে জমি বুঝিয়ে দিতে গিয়ে জমির উপরোক্ত দাগে ভোগ দখলে থাকা ভাড়াটিয়া বর্গাচাষি মো. জামালকে কোনো নোটিশ বা মৌখিকভাবে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন।

 

 

শনিবার সকালে সহকারী জজ আদালত (আমতলী) বরগুনা, থেকে নাজির মো. ফারুক আহম্মেদ গিয়ে চূড়ান্ত ডিগ্রিদারকে (সোনাবরু গংদের) জমি বুঝিয়ে দেন। এ সময় পুলিশের সহায়তায় ভাড়াটিয়া বর্গাচাষি জামালের জমিতে থাকা ১টি স-মিল, ২টি বয়লার মুরগীর ফার্ম ও ৮টি পানের বরজ ভেঙে লাল নিশান টানিয়ে দেন।

 

 

বর্গাচাষি জামাল মিয়া বলেন, আমি এতে সর্বস্ব হারিয়ে পথের ফকির হয়ে গেলাম। এতে আমার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

 

 

বিবাদী মো. আউয়াল হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, আমরা আদালতের দেওয়া কোনো নোটিশ পাইনি।

 

 

সহকারী জজ আদালত (আমতলী) বরগুনা, নাজির মো. ফারুক আহম্মেদ মুঠোফোনে বলেন, আদালতে নির্দেশে আমি চূড়ান্ত ডিগ্রিদারকে (সোনাবরু বিবি গংদের) জমি বুঝিয়ে দিয়ে লাল নিশান টাঙিয়ে দিয়েছি। বিনা নোটিশে স্থাপনা কেন ভেঙেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্গাচাষি কোনো নোটিশ পাবেন না। এ মামলায় যারা বিবাদী তারা বিষয়টি জেনেছেন এবং নোটিশও পেয়েছেন।সুত্র,কালের কন্ঠ

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD