বরগুনায় খাকদোন নদের কালচে পানিতে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরগুনায় খাকদোন নদের কালচে পানিতে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি

বরগুনায় খাকদোন নদের কালচে পানিতে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি

বরগুনায় খাকদোন নদের কালচে পানিতে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি




বরগুনা প্রতিনিধি॥ দূষণের কারণে বরগুনার খাকদোন নদের পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাসা-বাড়ির আবর্জনা, কারখানার বর্জ্য ফেলার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে এ নদের পানি ব্যবহার করতে পারছেন না দুই পাড়ের বাসিন্দারা।

 

 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বরগুনা পৌর শহরের পয়ঃনিষ্কাশন এ নদেই হয়। এছাড়া শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানার বর্জ্য এখানেই ফেলা হয়। এসব কারণে পানি দূষিত হয়ে গেছে। লাকুর তলা, সোনাখালী ক্রোক, ফুলতলীসহ দুই পাড়ের প্রায় এক লাখ মানুষ আবাসিক ও বাণিজ্যিক কাজে দৈনন্দিন এ নদের পানি ব্যবহার করে। বর্তমানে এ পানি ব্যবহারের উপযোগীই নেই।

 

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে খাকদোন নদের পানি কালচে হয়ে আছে। এ পানি ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। বিকল্প পানির উৎস না থাকায় নদীর পাড়ের বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে এ পানি ব্যবহার করছে। বিশখালী নদীর সংযোগস্থল থেকে পূর্বদিকে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় এ পানি প্রবাহমান। এছাড়া ভাড়ানি খাল ও ক্রোক খালে এই দূষিত পানি প্রবেশ করেছে।

 

 

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) একটি প্রতিনিধি দল ১-২৪ মার্চ বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের তালিকা ধরে সমীক্ষা চালায়। এতে উঠে এসেছে যে- ৭১ শতাংশ মানুষ দৈনন্দিন কাজে খালের পানি ব্যবহার করে। সমীক্ষাভুক্ত এলাকায় মাত্র ২০ শতাংশ বাড়িতে গভীর নলকূপ আছে। বরগুনার খালের পানিতে মলের জীবাণুর উপস্থিতি পেয়েছে প্রতিনিধি দলটি। তারা খাওয়া ও গৃহস্থালি কাজে নিরাপদ পানি ব্যবহার নিশ্চিত করা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে গভীর নলকূপের সংখ্যা বাড়ানো, খাল-নদীর পানি ফুটিয়ে অথবা বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়ে নিরাপদ করে ব্যবহার ও স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

 

 

খাজুরতলার নাজমা বেগম বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে এ নদের পানি কালচে হয়ে আছে। নলকূপ-পুকুরসহ বিকল্প পানির উৎস না থাকায় এবং বৃষ্টি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা এ নদের পানি ব্যবহার করছি।

 

 

বরগুনা জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, আগে থেকেই বরগুনায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এখন আবার খাকদোন নদের পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ তো ভয়াবহ বিপদসংকেত। পৌর শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ও কারখানার বর্জ্য নদেতে ফেলা বন্ধ না করলে পানি আর ব্যবহার করা যাবে না।

 

 

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা.মারিয়া হাসান বলেন, এখন খাকদোন নদের পানি ব্যবহার করলে ডায়রিয়া, কলেরা, ডাইফয়েড,আমাশয়সহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে। আমরা নদ দূষণমুক্ত করা, দুই পাড়ের মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি নানা সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD