শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥
সীমাহীন নিরাপত্তা হীনতায় স্কুলে যাওয়ার পথে উত্যক্ত ও অপহরণ শ্লীলতাহানির চেষ্টা ঠেকাতে করা মামলায় তিন বখাটে রহিম মাতুব্বর, জামাল মাতুব্বর ও নয়ন ফকির বর্তমানে হাজতবাসে। তারপরও নিস্তার নেই সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মহিমার। এখন ওই বখাটে চক্রের স্বজনেরা বিভিন্ন মামলা-হামলায় জড়ানোসহ প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। প্রতিদিন কিশোরী মহিমাকে স্কুলে পৌছে দেয়ার জন্য মা খাদিজা বেগম কিংবা বাবা মাসুদ মৃধা সঙ্গে যাচ্ছেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বেতমোড় গ্রামের এই সবজিচাষী এখন চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন। মাসুদ মৃধা জানান পাঁচ মেয়ের জনক তিনি। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। তৃতীয় সন্তান মহিমাকে নিয়ে এখন পড়েছেন চরম বিপদে।
অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যৌন হয়রাণি ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগের মামলা করে এখন চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন। মেয়েকে মুখ চেপে ধরে জোর করে অপহরনকালে বাধা দেয়ায় বাবা মাসুদ মৃধাকে কুপিয়ে জখম করে দেয়। গ্রামছাড়া করার হুমকি দেয়া হয়েছে। এসিডে ঝলসে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। তিন বখাটে আদালতের নির্দেশে হাজতে থাকলেও তাকে জামাল, রহিম ও নয়নের দুই চাচিসহ স্বজনেরা হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এমনকি মোবাইলে শিক্ষার্থী মহিমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এ পরিবারটি এখন চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন। গ্রামের ১০৬ জন মানুষ এদের সহায়তার জন্য লিখিত আবেদনের স্বপক্ষে তাদের মোবাইল নম্বরসহ সই করেছেন। বর্তমানে মেয়ের লেখাপড়ার শঙ্কার চেয়েও নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম শঙ্কায় পড়েছেন সবজি চাষী মাসুদ মৃধা। কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ওই পরিবারের পক্ষ থেকে তার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। দিলে সকল ধরনের প্রটেকশন দেয়া হবে। মাসুদ মৃধা জানান, মামলা করেছি। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এখন আর কী করব বুঝতে পারছিনা। জীবন-জীবিকা সামলাবেন, না মেয়ের লেখাপড়াসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। এক কথায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এ কৃষক পরিবার।
Leave a Reply