পড়া না পারায় ঝালকাঠিতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষিকা Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




পড়া না পারায় ঝালকাঠিতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষিকা

পড়া না পারায় ঝালকাঠিতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষিকা




জেলা প্রতিনিধি, ঝালকাঠি ॥ পড়া না পারায় ফাতেমা আক্তার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে মারলেন এক শিক্ষিকা৷ লাঠির আঘাতে ওই ছত্রীর ডান চোখের পাশ ফেটে গেছে। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চন্দ্রকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত বুধবার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আহত ফাতেমা আক্তার উপজেলার জোয়ারআওরাবুনিয়া গ্রামের মো. সুমন হাওলাদারের মেয়ে।

ঘটনার পর ওই ছাত্রীর পরিবার স্থানীয় থানা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে চাইলেও অভিযুক্ত শিক্ষিকার চাপের কারণে তা আর পারেনি। বৃহস্পতিবার সকালে ওই স্কুলের এক শিক্ষকের মধ্যস্থতায় আহত ছাত্রীর পরিবারকে ডেকে নিয়ে মীমাংসার নামে বিষয়টি ধামাচাপা দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।স্থানীয়রা জানান, পড়া না পারায় তৃতীয় শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ডলি আক্তার।

লাঠির আঘাতে ফাতেমা আক্তারের ডান চোখের পাশ ফেটে যায়। এরপর আহত ছাত্রীর হাতে ১০টাকা দিয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে না জানাতে বারণ করেন ওই শিক্ষিকা। কিন্তু সহপাঠিদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে যায় তারা। মারধরের বিষযটি জানতে পেরে ফাতেমার বাবা-মা থানা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাতে চাইলে ওই শিক্ষিকার পক্ষ থেকে বিষয়টি চেপে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাতভর কয়েক দফা বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলের অফিস কক্ষে মীমাংসার নামে বিষয়টি ধামাচাপা দেন শিক্ষকরা।

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষিকা ডলি আক্তার বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়।আর ওইদিন কোন শিক্ষার্থীকে মারধরও করা হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সোহেলী পারভীন বলেন, ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে শিক্ষিকা ডলি আক্তারের একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল লাইব্রেরীতে তার সমাধান হয়েছে।এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল বলেন, বর্তমান আইন অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের গায়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা হাত তুলতে পারেন না৷ যদি ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষকে অভিযোগ করা হয়ে তবে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তিনি আরো বলেন, ‘আমি নিজেও বিষয়টির খোঁজখবর নিবো। প্রমাণ পাওয়া গেলে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD