রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
আরিফ বিল্লাহ নাছিম,কলাপাড়া(কুয়াকাটা) প্রতিনিধিঃ আলহাজ্ব মোঃ মাহবুবুর রহমান তালুকদার ১৯৫৪ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা: মৃত জনাব এ কে এম ইসমাইল তালুকদার এবং মাতা: মৃত মোসাম্মৎ হালিমা খাতুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে বি এস এস অনার্স ও এম এস এস ডিগ্রী লাভ করেন।পরবর্তীতে তিনি এল এল বি ডিগ্রী অর্জন করেন।তিনি একজন রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তাঁর পিতা কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে নির্মূল করতে স্বক্ষম হন এর ফলে বঙ্গবন্ধুর ভালবাসা ও আস্থা অর্জন করে ১৯৭২ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান তাঁর পিতার কাছ থেকে রাজনৈতিক দীক্ষা নিয়েছেন।ছাত্র জীবনে ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসী তান্ডবে ও আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক চরম দুর্দিনে ১৯৮৮ সালে তিনি কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং রাজনৈতিক অনেক সংকটময় অবস্থা মোকাবেলা করে ২০০২ সাল পর্যন্ত এপদে বহাল থেকে দলের হাল ধরেন।
তিনি জামায়াত বিএনপির সকল দেশবিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম মোকাবেলা করে, রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা অর্জন করার মধ্যদিয়ে ২০০৩ সাল থেকে অদ্য পর্যন্ত তিনি কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আসিন রয়েছেন।তিনি বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।সুদীর্ঘ ৪৭ বছর যাবৎ তিনি ও তাঁর পিতা পর্যায়ক্রমে কলাপাড়া উপজেলা অওয়ামীলীগ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গৌরবময় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছেন।জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।তিনি সকল প্রকার ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে পরপর ৩ বার ১১৪, পটুয়াখালী-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।প্রথম বার ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও জামাতের সীমাহীণ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে প্রাণ বাজি রেখে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন।(২০০১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মাত্র ৫৯ টি আসন পেয়েছিল এর মধ্যে পটুয়াখালী-৪ ছিল অন্যতম ), দ্বিতীয় বার ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং তৃতীয় বার ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।৩১ জুলাই ২০০৯ খ্রিঃ তারিখ বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে জনাব মাহবুবুর রহমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদে অত্যন্ত ন্যায় পরায়ন ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকা কালীন তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও দক্ষ কর্মদক্ষতায় দক্ষিণ অঞ্চলের অসংখ্য উন্নয়ন করে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ সৃষ্টি করেন।দক্ষিণ অঞ্চলের গরীব, দুঃখি সকল শ্রেণি পেশার নৌকা প্রিয় মানুষ ত্যাগী ও যোগ্য এই নেতার জন্য দীর্ঘায়ু ও সফলতা কমনা করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও মো. মাহবুবুর রহমান কে এমপি হিসেবে নৌকার জয় দেখতে চায়।আশা করি মাদার অফ হিউম্যানিটি উন্নয়নের অভিভাবক, ১৬ কুটি মানুষের বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা, গণতন্ত্রের মানষকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রিয় এলাকার জনগণের মনের বাসনা পূরণ করবেন।
Leave a Reply