পটুয়াখালীতে কোনো বাড়িতেই যাননি চামড়ার মৌসুমী ক্রেতারা Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




পটুয়াখালীতে কোনো বাড়িতেই যাননি চামড়ার মৌসুমী ক্রেতারা

পটুয়াখালীতে কোনো বাড়িতেই যাননি চামড়ার মৌসুমী ক্রেতারা

পটুয়াখালীতে কোনো বাড়িতেই যাননি চামড়ার মৌসুমী ক্রেতারা




আরেফিন সহিদ, বাউফল প্রতিনিধি॥ ফড়িয়া বা মৌসুমী চামড়া ক্রেতারা প্রতিবছর ঈদুল আযহার আগের দিন গ্রামের প্রত্যেক বাড়ি ঘুরে ফিরে গরু বা খাসির সাইজ দেখতেন। চামড়া বিক্রির জন্য গৃহস্থদের কাছে ধরনা দিতেন। এ বছর সেই দৃশ্য নেই।

 

 

ঈদুল আযহায় কোনো বাড়িতেই যাননি চামড়ার ফড়িয়া বা মৌসুমী ক্রেতারা। তাই বাধ্য হয়ে কোরবানির পর চামড়া নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন। আবার অনেকে স্থানীয় এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে চামড়া দান করে দিয়েছেন।

 

 

 

এতিমখানা কর্তৃপক্ষ পরিবহন খরচ দিয়ে ব্যবসায়ীদের বাড়িতে গিয়ে চামড়া বিক্রি করেছেন। ১৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকায় প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে। খাসির চামড়ার কোনো দাম নেই।

 

 

নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদী গ্রামের শহিদুল ইসলাম (চুন্নু) হাওলাদার কোরবানির গরু কিনেছেন ৮৩ হাজার টাকায়। আগে এমন সাইজের একটি গরুর চামড়া অন্তত ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি করতে পারলেও এবার ক্রেতা না থাকায় তা কেটে অংশিদারদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন।

 

 

একই বাড়ির আজাহার হাওলাদার ও আব্দুল মন্নান মাস্টার বিক্রি করতে না পেরে চামড়া খাওয়ার জন্য রেখে দিয়েছেন।

 

 

কেশবপুর ইউনিয়নের মেহেন্দিপুর গ্রামের প্রভাষক ফরিদুর রহমান জানান, প্রতিবার পশু জবাই করার সঙ্গে সঙ্গে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ছুটে আসতেন। এবার চামড়া নিয়ে অপেক্ষা করেও ক্রেতা পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে কোরবানির গরুর চামড়া পাশের তাহফিজুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় দিয়েছি।

 

 

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় শুনেছি চামড়া নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। কিন্তু এবার পশু কোরবানির চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

 

 

বাউফল পৌরশহরের ঋষিবাড়ির চামড়া ব্যবসায়ী রাধেশ্যাম বলেন, গত ৯ বছর ধরে শুধু লোকসান দিয়ে আসছি। লাভের মুখে দেখিনি। এখন চামড়া কিনতে ভয় পাচ্ছি। কয়েকটি এতিম খানা থেকে প্রায় ১০০০ চামড়া দিয়ে গেছে। সাইজ ও কোয়ালিটি দেখে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত প্রতিটি চামড়ার দাম পরিশোধ করেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই ঢাকায় পাঠিয়ে দেব।

 

 

অপর ব্যবসায়ী মানিক জানান, বাউফলের কালাইয়া, নওমালা, বগা, কালিশুরী, কাছিপাড়া ও গাজিমাঝি এলাকায় বেশ কয়েকজন চামড়া ব্যবসায়ী আছেন। এরা প্রতিবছর নাটোর ও ঢাকা লালবাগ এলাকার আড়তদারদের কাছে চামড়া বিক্রি করেন। চামড়া নেয়ার পর আড়তদাররা নগদ টাকা পরিশোধ করেন না। মাসের পর মাস চালান আটকে থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। যে কারণে চামড়া কিনতে অনীহা তৈরি হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD