পটুয়াখালীতে কোটির টাকার সড়কে ধস Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




পটুয়াখালীতে কোটির টাকার সড়কে ধস

পটুয়াখালীতে কোটির টাকার সড়কে ধস

পটুয়াখালীতে কোটির টাকার সড়কে ধস




বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং সড়ক নির্মাণ কাজে শেষের দুই মাসের মাধ্যে সড়কের একাধিক স্থানে ধস নেমেছে। শিডিউল অনুযায়ী কাজ না করা ও নির্মাণ কাজে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

 

 

এমন চিত্র উপজেলার বাউফল-নওমালা সড়ক হতে হোসনাবাদ শেরেই বাংলা সড়ক সংযোগ ভায়া হাচান হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত নির্মিত কার্পেটিং সড়কের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, ২০১৯/২০ অর্থবছরে ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১.৮ কিলোমিটার ওই সড়কটি নির্মাণের জন্য দরপত্র আবহ্বান করেন উপজেলা এলজিইডি। এতে পটুয়াখালীর মের্সাস নাজমুস শাহাদাত নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ওই কাজের তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো.শহিদুল ইসলাম।

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ সড়কের নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যোগসাজশে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। শিডিউলে বালু ভরাট কথার থাকলেও অবৈধভাবে বোমা ড্রেজার দিয়ে স্থানীয় পুকুর থেকে কাদা-মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট করেন। ঠিক মত কাটা হয়নি বেড। ব্যবহার করা হয়েছে নিম্ন মানের ইট-খোয়া। কার্পেটিং করার সময় ৬০% বিটুমিন ও ৪০% ক্রসিন দেওয়ার কথা থাকলেও নামে মাত্র বিটুমিন ও ক্রসিন দিয়ে কার্পেটিং করা হয়। ব্যবহার করা হয় নিম্ন মানের পাথর। নির্মাণ কাজে তদারকি কর্মকর্তার পরিবর্তে নির্মাণ কাজ পরির্দশন করেন এলজিইডির নৈশ প্রহরী হারুন।

 

 

সড়ক নির্মাণের এমন অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও এলজিইডির কর্তা ব্যক্তিরা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অভিযোগ রয়েছে নিদিষ্ট অংকের কমিশন খেয়ে ঠিকাদারকে এমন অনিয়ম করার সুযোগ করে দিয়েছেন এলজিইডি। এতে করে নির্মাণ কাজের দুই মাসের মাথায় সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। উঠে গেছে সড়কের কার্পেটিং। স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহাবুদ্দিন (৫০) ও মো. শফিকুল ইসলাম (৪০) প্রতিনিধিকে বলেন,‘ যেমন খুশি তেমন ভাবে সড়ক নির্মাণ করেছেন ঠিকাদার। নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েও কোন সুরহা হয়নি।

 

 

এবিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. নাজমুস শাহাদাত বলেন,‘ যদি ভেঙে থাকে তাহলে সংস্কার করে দেওয়া হবে। নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন,‘ নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। শিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে।

 

 

এবিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. সুলতান ইসলাম বলেন,‘ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের জামানত জব্দ রয়েছে। সড়কটি সংস্কার করার জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হবে।সুত্র,আলোকিত বাংলাদেশ

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD