রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ১১৪, পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন প্রায় ২০ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। এদের মধ্যে কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী থাকলেও তবে অধিকাংশরাই বয়সে তরুন এবং নতুন মুখ। দলীয় কর্মকান্ডে এদের অনেককেই দেখা যায়নি। মনোনয়ন ক্রয়কারীদের কেউ কেউ ডামি হিসেবে নিজের স্ত্রী সন্তানদের দিয়ে মনোনয়ন ফরম কিনিয়েছেন। তরুনদের মধ্যে অনেকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। পায়রা বন্দর, পর্যটন কেন্দ্রসহ অর্থনৈতিক জোন হিসেবে এ আসনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে প্রার্থী নির্বাচনে ভুল করলে হোঁচট খেতে পারে আওয়ামী লীগ এমনটাই মনে করছেন মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
সাংবিধানিক এ আইন প্রনেতার পদটি পেতে দলীয় ফরম ক্রয়ে নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় মুখরোচক আলোচনা সমালোচনা শোনা যাচ্ছে নেতাকর্মীদের মাঝে। তবে দু’এক দিনেই অপেক্ষার প্রহর ও জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটবে মনোনয়ন ঘোষনার মধ্য দিয়ে, এমনটাই বলছে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সূত্র।
সূত্র জানায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসনে নৌকার মাঝি হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ২০ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। এদের মধ্যে বর্তমান এমপি অধ্যক্ষ মো. মহিব্বুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুবুর রহমান, তাঁর ছোট ভাই বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মোঃ হাবিবুর রহমান, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, বর্তমান পৌরসভা মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, তাঁর পুত্র কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দীন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার,বর্তমান সাংসদ’র স্ত্রী উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ ফাতেমা আক্তার রেখা, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার মিল্টন, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার জুনায়েদ হাসিব, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ আখতারুজাম্মান কোক্কা, তাঁর পুত্র যুবলীগ নেতা সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নাসির উদ্দিন, শহিদুল্লাহ ওসমানী, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল, মোঃ বাশেদ সিমন, গৌতম চন্দ্র হাওলাদার প্রমূখ।
সূত্রটি আরও জানায়, অফেরত যোগ্য ৫০ হাজার টাকা করে প্রত্যেক দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরম সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে অনেকের নির্বাচন করার মত ক্লিন ইমেজ, আর্থিক স্বচ্ছলতা কিংবা জনপ্রিয়তা কোনটাই নেই। তবুও তারা এমপি হওয়ার বাসনায় প্রার্থী হয়েছে। ঢালাওভাবে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হেভিওয়েট প্রার্থীরা।
গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩২জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ কারীর নাম এসেছিল আলোচনায়। মনোনয়ন ঘোষনার পর চাপা পড়ে যায় তাদের নাম।
উপজেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক কমরেড নাসির তালুকদার বলেন, একজন আইন প্রনেতার পদটি সাংবিধানিক। এটি রাষ্ট্রের বড় একটি পদ। এবং এ পদের দায়িত্ব মহান। রাষ্ট্র বিনির্মানে তাদের মূল্যবান ভূমিকা রাখতে হয়। সুতরাং তাদের যোগ্যতা ও সামর্থের প্রশ্ন আছে। কিন্তু এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রশ্নে আমরা যা দেখছি তা অপ্রত্যাশিত।
Leave a Reply