বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এখন নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে এবং সেই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, সেনারা দীর্ঘদিন মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। ফলে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা এখন সময়ের দাবি। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাসদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পদস্থ কর্মকর্তারা সরাসরি উপস্থিত ছিলেন এবং দেশের সব সেনা স্থাপনার কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
জেনারেল জামান বলেন, দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে আছে। সেনারা জাতির ভবিষ্যৎ, তাই প্রত্যেক সদস্যকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বাহিনীর শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখার ওপরও তিনি জোর দেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনী একটি পেশাদার সংগঠন, তাই মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় অবশ্যই পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। কোনো পরিস্থিতিতেই প্রতিশোধমূলক আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
সেনাপ্রধান সামরিক বাহিনীকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, এসব মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। বিশেষ করে তরুণদের কাছ থেকে অনেক মন্তব্য আসছে, যা অভিজ্ঞতার অভাবে হয়ে থাকে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সময়ের সঙ্গে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে সক্ষম হবে।
নির্দিষ্ট অভিযোগ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান জানান, একজন সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইভাবে, একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়েও তদন্ত চলছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নৈতিক স্খলনের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, তবে মিডিয়া ট্রায়ালের ভিত্তিতে শাস্তি নির্ধারণ করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, একজন সেনা কর্মকর্তাকে গড়ে তুলতে রাষ্ট্র বিপুল অর্থ ব্যয় করে। তাই অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করতে হবে। অপরাধ হওয়ার পর শুধুমাত্র বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের সম্পদের অপচয়। তার ভাষণে স্পষ্ট হয়, নির্বাচনী পরিবেশে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতা, শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জনগণ ও সরকারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে।
Leave a Reply