শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১২ পূর্বাহ্ন
রাজাপুর প্রতিনিধি ॥
ঝালকাঠির রাজাপুরের দক্ষিন তারাবুনিয়া গ্রামের বিয়ে বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করায় আসামীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মেয়ের পরিবার। এমনকি মামলা তুলে নেয়া না হলে সদ্য বিবাহিত মেয়েকে হামলাকারী বখাটের একদল তুলে নেয়া এবং কম্পিউটারে সুরমার বস্ত্রহীন ছবি তৈরীকরে ফেইসবুকে দেয়াসহ বিভিন্নরকম হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা সূত্র ও মেয়ের বাবার শাহ আলমের অভিযোগে জানা গেছে, দক্ষিন তারাবুনিয়া গ্রামের শাহ আলম বিশ্বাসের মেয়ে সুরমা আক্তারের গত ২৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাতে তাদের নিজ বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিলো।
এসময় একই গ্রামের প্রতিপক্ষের মোশাররফ হোসেন খানের ছেলে শাহরিয়ার খানসহ ৯/১০ জনের একটি নেশাগ্রস্থ দল শাহ আলমের ঘরে প্রবেশ করে শাহ আলম বিশ্বাসকে (৭০) মারধর করে। তাকে রক্ষা করতে তার আর এক মেয়ে ফাতেমা বেগম এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসিরা তাকেও মারধর করে এবং তাকে টানা হেঁচড়া করে শরীরের কাপড়চোপড় খুলিয়া শ্লিলতা হানি করে।
আহত শাহ আলম বিশ্বাস রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নেন। এসময় নেশাগ্রস্থ শাহরিয়ার খান ওরফে নাছির চিৎকার করে বলতে থাকে যে, তার সাথে তিন বছর আগে সুরমার বিয়ে হয়েছে। সুরমাকে নিতে এসেছি। তাকে তুলে নিয়ে যাব। ফাতেমার গলায় এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন শাহরিয়ার খান ওরফে নাছির ছিড়ে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় শাহ আলম বিশ্বাসের ওই রাতে বিবাহিত মেয়ে সুরমার স্বামী ইমরান হোসেন ঘরে ছিলো।
সামাজিকভাবে শাহআলমকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। একপর্যায় সুরমাকে শাহরিয়ার সাথে বিয়ে না দিলে শাহ আলমকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসিরা চলে যায় বলে মামলার বিবরনিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে। এবিষয়ে শাহআলম বিশ্বাস বাদি হয়ে গত ২৮ আগষ্ট রোববার একই গ্রামের প্রতি পক্ষের মোশাররফ হোসেন খানের ছেলে শাহরিয়ার খান ওরফে নাছির (২৫), নুরুল ইসলাম সিকদার হিরণের ছেলে আতিকুর রহমান শাওন (২৪) , পিরোজ পুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের কাছেম খানের ছেলে মিজানুর খান ওরফে লিটন (৪৫) ও অজ্ঞাত ৭জনসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় মামলা (নং ১০) দায়ের করেন।
শাহ আলম বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে ওই সন্ত্রাসিরা মোবাইল ফোনে দুটি নম্বার দিয়ে মামলা তুলে না নিলে সদ্য বিবাহিত মেয়ে সুরমা আক্তারকে তুলে নেয়া এবং কম্পিউটারে সুরমার বস্ত্রহীন ছবি তৈরীকরে ফেইসবুকে দেয়াসহ বিভিন্নরকম হুমকি দিয়ে আসছে। নাম্বার দুটি থানা পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে বলে তিনি আরো জানান। এবিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি সামসুল আরেফিন জানান, শাহরিয়ার খান ওরফে নাছির একজন মাদক সেবি।
মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করে দেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply