শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
এইচ এম হেলাল:এস আর সমাজকল্যান সংস্থা দুঃস্থদের জন্য অকাতরে সাহায্য করছে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এস আরের কর্ণধার সালাউদ্দিন রিপনকে নিয়ে ,তিনি নিজেই দুঃস্থ। সৎ.
সৃজনশীল চিন্তার দেউলিয়াত্বে ভুগছে। তাকে কে সাহায্য করবে?যে ব্যক্তি সুস্থ চিন্তা করে সে কোনভাবেই কাউকে দান করে সাহায্য দিয়ে তার ভোটার আইডি কার্ড কিংবা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি নিবেনা। যেটা করছে এস আর ।
সঙ্গত কারনেই আমরা ধরে নেই এস আর মানে সালাউদ্দিন রিপন। অন্য কিছুও হতে পারে। যাই হোক তা তেমন ধর্তব্যের বিষয় না। বরং তার এবং তার সংস্থার কর্মপদ্ধতি আমূল প্রশ্নবিদ্ধ। তার এই দান ধ্যান এবং প্রচার প্রচারনার কায়দাটা ফ্যাসিষ্টসূলভ। সমর্থিত বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় সালাউদ্দিন রিপন এমপি নির্বাচন করার জন্য মাঠ তৈরী করছে। এবং এক্ষেত্রে যথাসম্ভব আওয়ামী লীগের টিকেট চাইবে। সে অন্য প্রসঙ্গ ।
তার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক চিন্তা। কিন্তু যখনই এর সাথে সমাজ, দুঃস্থ জনগন সামনে চলে আসে তখন কোনভাবেই সে বিষয়গুলো আর ব্যক্তিগত থাকেনা। সালাউদ্দিন রিপনদের মত ব্যক্তিদের নিয়ে রঞ্জন রায় চৌধুরীর বিখ্যাত নাটকটির নাম তামাশা। সেখানে অসহায় দিনমজুর গরিব চরিত্রে অভিনয় করা দামী গাড়িতে চড়া অভিনেতার পথ আটকে বলছে- আমাগের দুঃখ দেকায়ে যখন প্যাট চালাও গাড়ি চালাও তখন আমাগের ভাগখানা দাও।
তবে না, আমরা এস আর সমাজ কল্যাণ সংস্থা কিংবা সালাউদ্দিন রিপনের কাছে কোন কিছুর ভাগ চাইছিনা। বলতে চাচ্ছি দারিদ্রতা আছে বলেই সালাউদ্দিন রিপনরা একদা নেতা হতে পারে, এমপি মিনিষ্টারও হয়, তারপর পত্রিকায় নিহতের সংবাদ পাঠ করে দাতেঁর ফাঁক দিয়ে ফ্যাচাৎ করে একটা হাসি দিয়ে বলে- আল্লার মাল আল্লায় লইয়া গ্যাছে। আমানত শাহ লুঙির বিজ্ঞাপন মার্কা এই সমাজসেবকরা হইলো রবীন্দ্রনাথের পদ্য-আমসত্ব দুধে ফেলি তাহাতে কদলী দলি হাপুস হুপুস খাইতে থাকে ওদিকে দুঃস্থ জনগন পিপড়ার সারি পাতের পাশ দিয়ে লাইন দিয়ে চলে যাচ্ছে। গরীব মানুষ নগদ যা পায় তাই সই, আম্বিয়ার বাপে পায় হুক্কার তামাক কেনার টাকা, সফুরা বিবি ৮৯ বছরে চোখের ছানি অপারেশন করাতে পারে, মোজাম্মেল পায় ৪ কেজি চাউল যার দরুন আইজ রিকসা না চালাইলেও চলবে। আর তাই আম্বিয়ার বাপ আর সফুরা গ্রুপের সংখ্যাধিক্যে এস আর সমাজ কল্যাণ সংস্থার মত সমাজসেবীরা হালে পানি পায়।
এস আরের পূর্বে বাংলার আকাশ বাতাসে ছিলো আরট আর আরট। মানে আব্দুর রহমান তপন ফাউন্ডেশন। চাউল,ডাইল, শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, বিবাহ, দাফনের কাফন, শ্রাদ্ধের জন্য সাতারো মন বেগুনভাজা মায় সৌদী আরবের তসবিহ কোথায় আরটের দান, সাহায্য ছিলোনা? কিন্তু আরটের কোন সাড়া শব্দ নেই। বিভিন্ন মহলের ধারনা থাকলে যাদুঘরে থাকবে, না থাকলে নাই। তো আরট নেই তাতে কোন সমস্যা নাই, এস আর আছে, এস আরের পরও থাকবে। তা থাকুক। অবশ্যই উত্তম নিহিত থাকেব উত্তমের সাধনায়।
কিন্তু জাতীয় শোক দিবসকে পন্য বানিয়ে হাজার হাজার রঙ্গীন পোষ্টার এস আরের পক্ষ থেকে শহরের দেয়ালে দেয়ালে এটা কেনো?পনেরো আগষ্ট এমনই এক শোকের মাস যেখানে স্বয়ং শেখ হাসিনারও ছবি আসতে পারেনা। সেখানে শেখ হাসিনা ছাড়াও জননেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছবি, শেষে সালাউদ্দিন রিপনের নিজের ছবি। সালাউদ্দিন রিপন আল্লাহ ছাড়া অচল, তার সব প্রচারের শুরুতেই থাকে আল্লাহ সর্বশক্তিমান।
সেই আল্লাহ/ তার রাসুল পই পই করে বলেছে তোমার ডান হাতের দান যেন বাম হাতে না জানে। কিন্তু কে শোনে কার কথা, বরং ভগবতির মত দশ হাতে জানান দেয়, আমি আছি তোমগোর আগামীর জনপ্রতিনিধি। এখন তোবারকের হুপিং কাশির ঔষধ, হুরতুন্নেছার চোখের ছানি আফটার চশমা, দারাজ আলি খানের মেয়ে জামাইয়ের বিবাহের ঝালড়ওয়ালা পাগড়ী এসব নিয়া যাও, বিনামূল্যে মুক্তহস্তের দান।২য় মহাযুদ্ধে হিটলারের নাৎসীরা তৎসময়ের অসহায় ইহুদীদেরকে যেভাবে টোকেন দিয়ে একটুকরো রুটি কিংবা আধা শিশি ঔষধ ছুড়ে দিতো সাহায্যের নামে, এস আর সমাজ কল্যান সংস্থার সাহায্য সেসবেরই একটা ডিজিটাল ফর্মেশন বলেই অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে।
Leave a Reply